Paris Olympics 2024, Hockey: হকিতে ফের ‘সোনালি দিন’, অলিম্পিকে আবার ব্রোঞ্জ ফলালেন হর-মন-জেশরা!

অভিষেক সেনগুপ্ত | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Aug 08, 2024 | 7:22 PM

India Won Bronze Hockey in Paris 2024: ভারতের এই হকি টিম স্বপ্ন দেখানোর মতো। অলিম্পিকের আগে পুরো বছরটাতেই সে ভাবে খেলতে পারেনি ভারত। যা উদ্বেগে রেখেছিল হকি ভক্তদের। কিন্তু অভিষেক, গুরজন্ত, বিবেক, সুখজিৎ, জার্মানপ্রীতদের মতো তারকারা, যাঁদের হাতে আগামী দিনে থাকবে ভারতের দায়িত্ব, তাঁরা কিন্তু অলিম্পিকে সেরাটাই দিয়েছেন।

Paris Olympics 2024, Hockey: হকিতে ফের সোনালি দিন, অলিম্পিকে আবার ব্রোঞ্জ ফলালেন হর-মন-জেশরা!
Hockey: হকিতে ফের 'সোনালি দিন', অলিম্পিকে আবার ব্রোঞ্জ ফলালেন হর-মন-জেশরা!
Image Credit source: PTI

Follow Us

ভারত-২ : স্পেন-১

(হরমনপ্রীত ৩০ ও ৩৩ (মার্ক ১৮)

অভিষেক সেনগুপ্ত

সড্ডা হক, ইত্থে রখ! হকই তো! দাবি প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তো প্যারিস পর্যন্ত যাওয়া। সোনার লক্ষ্য ছিল। হয়নি। রুপোর ঝলক থেকেও দূরে সরে যেতে হয়েছে। কিন্তু ব্রোঞ্জ, তা কি হাতছাড়া করা যায়! ওই যে লিখলাম, সড্ডা হক! যেন নিজেদের হকের পদক নিতেই মাঠে নেমেছিলেন হরমনপ্রীত, মনপ্রীতরা। স্পেনের বিরুদ্ধে ০-১ পিছিয়ে থেকেও ব্রোঞ্জ ম্যাচ ২-১ জিতল ভারত। শুধু একঝাঁক সিং নন, উপাধ্যায়, প্রসাদ, রুইদাসরাও কিং! টোকিওর পর আবার পোডিয়ামে ভারতীয় হকি।

টোকিও গেমসের অ্যাকশন রিপ্লের কারণ কী? ডাক্তার আর ক্যাপ্টেনের জুটি! হার্দিক থাকলে হরমনপ্রীত আছেন। হরমনপ্রীত থাকলে আছে গোল। এই জুটিই অলিম্পিক হকি থেকে ভারতের আর একটা ব্রোঞ্জ পদক আনার আসল রেসিপি। হকিতে ইনজেক্টরের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পেনাল্টি কর্নার পেলেই হার্দিক চোখের পলকে ইনজেক্ট করেন। তা ধরেই গোল করেন ভারতের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত। অলিম্পিকে ১১টা গোল করে ফেললেন হরমনপ্রীত। যার অধিকাংশই এসেছে হার্দিকের ইনজেক্ট থেকে। যে কারণে হকি ভক্তরা ভালোবেসে হার্দিকের ছেলেকে ডাক্তার বলে ডাকা শুরু করেছেন।

না, এটুকুতেই লেখা হবে না পুরো গল্প। ‘দ্য ওয়াল’কে ভুললে চলবে কেমন করে! জীবনের শেষ ম্যাচ খেললেন, কে বলবে। মনে হল মধ্য পঁচিশে রয়েছেন। জাতীয় টিমের হয়ে সবে সেঞ্চুরি ম্যাচ পার করেছেন। অভিজ্ঞতায় ভরপুর, তারুণ্যেও। পারাত্তু রবিচন্দ্রন শ্রীজেশ ভারতের সাফল্যের অন্যতম কারণ। নির্দ্বিধায় বাঁচিয়ে চলেছেন একে পর গোল, পি-সি। ভারতকে ম্যাচের পর ম্যাচ বিপদসীমা পার করে এগিয়ে নিয়ে গেলেন পদকের দিকে।

না, তাতেও যে পুরো ছবি আঁকা যাচ্ছে না। মাঝমাঠে মনপ্রীত সিংয়ের ফুল ফোটানো ভোলা যাবে না যে! খেলা তৈরি থেকে, বিপক্ষের বক্সে পেনিট্রেট করা, তরুণদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, ‘আমি আছি তো’ বলার মতো বিরল লোক যে খুব একটা পাওয়া যায় না। শ্রীজেশের মতো মনপ্রীতও খেলে ফেললেন জীবনের শেষ ম্যাচ। সোনার লক্ষ্য ছিল। ব্রোঞ্জেও তো সোনালি বিদায় নেওয়া যায়!

ভারতের এই হকি টিম স্বপ্ন দেখানোর মতো। অলিম্পিকের আগে পুরো বছরটাতেই সে ভাবে খেলতে পারেনি ভারত। যা উদ্বেগে রেখেছিল হকি ভক্তদের। কিন্তু অভিষেক, গুরজন্ত, বিবেক, সুখজিৎ, জার্মানপ্রীতদের মতো তারকারা, যাঁদের হাতে আগামী দিনে থাকবে ভারতের দায়িত্ব, তাঁরা কিন্তু অলিম্পিকে সেরাটাই দিয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট ধরলে একমাত্র জার্মানি ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছিল ভারত। বোধহয় সোনার লক্ষ্য রেখে নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়ে ফেলেছিলেন তরুণ প্লেয়াররা। তারই ছাপ পড়েছে। কিন্তু ক্রেগ ফুলটনের টিম ওই হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়লেও আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই তো করতে হত, ব্রোঞ্জ হলেও পদক! অলিম্পিকের মঞ্চে আবার সোনা না পাওয়া পর্যন্ত থামলে চলবে?

Next Article