নয়াদিল্লি : এ বারের এশিয়ান গেমস হতে চলেছে চিনের শহর হাংঝৌতে। ট্র্য়াকে নামার আগে অবশ্য নানা সমস্য়া বা বলা ভালো প্রতিবন্ধকতা ভারতীয় অ্যাথলিটদের সামনে। এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হবে এশিয়ান গেমস। আগে থেকেই সমস্য়া সমাধানের বিকল্প খুঁজে রাখতে চাইছে ভারত। ২৫ এপ্রিল এশিয়ান গেমস নিয়ে মিটিং রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের শেফ ডে মিশন ভুপিন্দর বাজওয়া। বেশ কিছু বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলতে চলেছেন তিনি। খাবার থেকে থাকার জায়গা, সংযোগ। এই মিটিংয়ে সব কিছু নিয়েই আলোচনা হবে। ভারতের উইশ-লিস্টে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। সেগুলো পূরণ না হলে যে, অ্যাথলিটরা সমস্যায় পড়বেন এ কথা বলাই যায়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
চিনে পৌঁছে এশিয়ান গেমসের সময় যাতে কোনও সমস্য়া না হয় এর জন্যই আগে ভাগে সব আলোচনা করে নেওয়া ভালো বলেই মনে করছে ভারত। শেষ মুহূর্তে গিয়ে এত সব ঝামেলা মেটানো কঠিন। তালিকাটাও দীর্ঘ। চিনে ইন্সটাগ্রাম, জি-মেইল, ফেসবুক নিষিদ্ধ। তা হলে অ্যাথলিটরা যোগাযোগ করবেন কী ভাবে! এর বিকল্প ব্য়বস্থা কী হতে পারে? স্বাভাবিক ভাবেই যা বড় চিন্তার বিষয়। আরও একটা বড় সমস্য়া ভাষা। সেখানকার স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গেই শুধু নয়, এর বাইরেও অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী হবে! তাই টিমের সঙ্গে দোভাষী রাখার ব্য়বস্থাও খুবই জরুরি। মিটিংয়ে এই প্রসঙ্গ তুলবেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটাই জানিয়েছেন শেফ ডে মিশন ভুপিন্দর বাজওয়া।
এশিয়ান গেমসে অ্যাথলিটদের কাছে আরও একটা প্রতিবন্ধকতা হতে পারে খাবার। অ্যাথলিটদের মধ্যে অনেকেই নিরামিষাশী। ভুপিন্দর বাজওয়া বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে যাতে কোনও ঝক্কি না হয়, তাই আগে ভাগেই বেশ কিছু বিষয় মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’ কিছুদিন আগেই সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন অলিম্পিক সংস্থার কর্তারা। সরকারের তরফে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। এশিয়ান গেমসে পদক সংখ্যা বাড়াতে কোনওরকম ফাঁক রাখতে নারাজ সরকার এবং ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। গত মাসেই দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মিশন অলিম্পিক সেলের মিটিংয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন, হাংঝৌতে সেরা পারফর্ম করবে ভারতীয় অ্যাথলিটরা।
সূত্রের খবর, এশিয়ান গেমসে ভারতের ৬০০-৭০০ অ্যাথলিটের টিম পাঠানো হবে। ক্রিকেট ছাড়া সব খেলাতেই অংশ নেবে ভারত। শেফ ডে মিশন ভুপিন্দর বাজওয়া আরও জানিয়েছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়েই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। কেন না, ২০১৪ সাল থেকেই চিনে গুগল এবং জি-মেইল সার্ভিস বন্ধ। তেমনই ২০১৭ সাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্য়বহার নিষিদ্ধ। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মতো অ্যাপও ব্যবহার করার সুযোগ নেই।