টোকিও: অলিম্পিক (Olympics) নিয়ে জলঘোলা হয়েই চলেছে। জাপানের (Japan) সাধারণ জনগন অলিম্পক নিয়ে বিরোধিতা তো করছিলেনই, এ বার তাতে যোগ দিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরাও। পুরো শহরই করোনায় (COVID-19) কাবু হয়ে পড়েছে। এমনকি হাসপাতালে শয্যা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গেমস আয়োজন না করাই উচিত, বলছেন টোকিওর চিকিৎসকদের একাংশ। মাত্র ৬৫ দিন পর শুরু হবে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। কিন্তু ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে, জাপানের স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই এখনও করোনার টিকা পাননি। গত তিন মাসে ৪০ শতাংশেরও কম চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পুরোপুরি টিকাকারণ হয়েছে। তার মধ্যেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) প্রধান টমাস বাখ (Thomas Bach) আশার কথা শুনিয়েছেন, গেমস (Tokyo Games) ভিলেজে থাকা সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব নেবে গেমসের আয়োজকরা।
নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও বাখ আশ্বাস দিচ্ছেন, আয়োজকরা সুষ্ঠু ভাবে গেমস আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর। বুধবার এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বাখ জানিয়েছেন, টোকিও অলিম্পিক ভিলেজে উপস্থিত সমস্ত অ্যাথলিটদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে গেমস। গত সপ্তাহে টোকিও পরিদর্শনে আসার কথা ছিল আইওসি প্রধানের। কিন্তু জাপানে করোনার বাড়বাড়ন্তের ফলে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। তাই সফর বাতিল করতে বাধ্য হন বাখ। তবে তিনি বলেছেন, “সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নীতিটি খুবই স্পষ্ট, অলিম্পিক ভিলেজ সুরক্ষিত স্থান এবং টোকিও ২০২০-র অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক নিরাপদ ভাবেই আয়োজিত হবে। এই মুহূর্তে অলিম্পিক ভিলেজের ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা টিকা নিয়েছেন বা অলিম্পিক গেমসের আগে ভ্যাকসিন নিয়ে নেবেন। গেমস শুরু হওয়ার সময় আশা করি প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি বাসিন্দার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে।”
অলিম্পিক হোক সেটা যেমন জাপানের জনগণ চাইছেন না, তেমনই সেখানকার চিকিৎসকরাও চাইছেন না। চতুর্থ ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করছে জাপান। চিকিৎসকরা তাই বলেছেন, গেমস হলে আরও বেশি মাত্রায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কা যাতে সত্যি না হয়, তার জন্য আইওসি (IOC) প্রধান বাখ বলেছেন, “আইওসি আয়োজক কমিটিকে এনওসি (জাতীয় অলিম্পিক কমিটি) প্রতিনিধিদের জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। সেই অতিরিক্ত চিকিৎসা বিভাগ রাখার পাশাপাশি অলিম্পিক ভিলেজে ও অলিম্পিক ভেনুতে কড়া করোনাবিধি মেনে চলার দিকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে।”
অ্যাথলিটদের বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে অলিম্পিকে। বাখ এ ব্যাপারে বলেছেন, “গত কয়েকটি ইভেন্টে অ্যাথলিটরা অনেক বিধিনিষেধ মেনে চলেছে, যেমন- কোয়ারান্টিন, দৈনিক পরীক্ষা, কোনও গণপরিবহনে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা, জাপানি জনগণের সংস্পর্শে না আসা- জাপানি জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। অ্যাথলিটরা কিন্তু এই ত্যাগ করতে তৈরি, কারণ তারা জানে নিরাপত্তা সবার উর্ধ্বে।”
আরও পড়ুন: ফরাসি ওপেন জেতার স্বপ্ন দেখছেন না ফেডেরার