জুরিখ: ২৩ বছরের কেরিয়ার। ২০টা গ্র্যান্ড স্লামের (Grand Slam) মালিক। ১০৩টে ট্রফি জয়। ৪০-এ পা দিলেন রজার ফেডেরার (Roger Federer)। সাফল্যের অসম্ভব ঝলক যাঁকে ঘিরে রেখেছে দীর্ঘদিন। চল্লিশে পা দিলেও কোর্টে এখনও থেকে গিয়েছেন তিনি। হয়তো আরও কিছুদিন টেনিস দুনিয়া রজার-বিনোদন দেখার সুযোগ পাবে।
এত লম্বা কেরিয়ারে ফেডেরারের কাছে হারেননি, এমন প্রতিপক্ষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেমন তাঁরা তেমনি কিংবদন্তিরাও ফেডেরারকে নিয়ে মুগ্ধ। তাঁরা নানা সময় নানা মন্তব্য করেছেন ফেডেরারকে নিয়ে। জন্মদিনে তাই তুলে ধরা হল…
অ্যান্ডি রডিক, ২০০৪ সালে উইম্বলডন হারের পর: ওকে লক্ষ্যে করে কিচেন সিঙ্ক ছুড়ে মেরেছিলাম। কিন্তু ও বাথরুমে ঢুকে বাথটাবে লুকিয়ে পড়েছিল।
জিমি কনার্স: আধুনিক টেনিস কেউ ক্লে কোর্ট বিশেষজ্ঞ হয়। কেউ গ্রাস কোর্ট কিংবা হার্ড কোর্ট স্পেশালিস্ট। আবার কেউ রজার ফেডেরার হয়।
রাফায়েল নাদাল, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে: আমাদের দ্বৈরথ নিয়ে শুধু টেনিস দুনিয়া নয়, অন্য জগতও কথা বলে, আলোচনা করে। এটা আমাদের খেলাটার এখটা দারুণ দিক।
স্যাম কুয়েরি, ২০১৫ সালে উইম্বলডনে হারের পর: ও এমন ভাবে খেলে শটগুলো, যা অন্য কেউ আর পারে না। কখনও সখনও মনে হয়, খেলা থামিয়ে ফেডেরারের কাছে গিয়ে হাই ফাইভ দিই।
আন্দ্রে আগাসি, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হারের পর: ফেডেরারের পরবর্তী প্রতিপক্ষরা যেন আমার কাছে কোনও পরামর্শ না চায়।
ট্রেসি অস্টিন: ফেডারের টেনিস যত নতুন শট নিয়ে আসছে, সব বেআইনী ঘোষণা করা হোক।
জন ম্যাকেনরো: ফেডেরারের টেনিস দেখতে বড় ভালো লাগে।
রড লেভার: ফেডেরারকে হারানোর সহজ রাস্তা হল, টেনিস র্যাকেট দিয়ে ওর মাথায় মারা।
অ্যান্ডি মারে, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হারের পর: আমি রজার ফেডেরারের মতো কাঁদতে চাই। কারণ, ওর মতো টেনিসটা খেলতে পারব না।
নোভাক জকোভিচ: মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই, ফেডেরার কি সত্যিই এই গ্রহের প্লেয়ার?