দিল্লি: উয়ে হর্ন কার কোচ? সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়ার প্রাক্তন কোচ। গ্রাহাম রিড কাদের কোচ? ৪১ বছরের খরা কাটিয়ে ব্রোঞ্জ পাওয়া মনপ্রীত সিং, শ্রীজেশদের। রাফায়েল বার্গামাস্কো কার কোচ? বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ নিয়ে আসা লভলিনা বর্গোহাঁইয়ের।
শুধু পদকের খতিয়ানেই টোকিও অলিম্পিকে ইতিহাস গড়েছে ভারত। এই প্রথম কোনও অলিম্পিক থেকে সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ এসেছে। এমন তিন রংয়ের সাফল্য আর কখনও আসেনি। আর ভারতীয় অ্যাথলিটদের এমন রমরমার কারণই হলেন বিদেশি কোচরা। যাঁদের হাত ধরে দুরন্ত উত্তরণ হয়েছে পিভি সিন্ধু, বজরং পুনিয়াদের। ভারতের সফল অলিম্পিক যাত্রার খোঁজখবর যদি তুলে ধরতে হয়, তা হলে এরিক, রিড, রাফায়েলদের কথাই বলতেই হবে। এঁদের তৈরি নীলনকশাই এত দূর নিয়ে এসেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটদের। একটা ব্রোঞ্জ কিংবা রুপোই অনেক, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে সোনা জয়ের স্বপ্ন তৈরি করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সোনা-রুপোর ম্যাচ হাতছাড়া হলে চরম আক্ষেপও করছে লভলিনা, বজরংরা।
মানসিকতা থেকে ট্রেনিংয়ের ধরণ, বিপক্ষের যাবতীয় তথ্য জোগার থেকে স্ট্র্যাটেজি— বিদেশি কোচেদের পকেটে সব মজুত। যার উপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে সাতটা অলিম্পিক পদক জয়ের আশ্চর্য কাহিনি।
এই অলিম্পিক থেকে প্রথম রুপো এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মীরাবাঈ চানু। যাঁর স্ট্রেনথ অ্যান্ড কন্ডিশিনিং কোচ আমেরিকার অ্যারন হর্সচিং। ভারোত্তোলকের মতো কঠিন ইভেন্টের জন্য মাসল কন্ডিশনে রাখাটা খুব কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যা ঠিকঠাক সামলে এসেছেন অ্যারন। আর তাই টোকিওতে সাফল্য পেয়েছেন চানু। পর পর দুটো অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসা সিন্ধুর দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তে-সাং। মেয়েদের হকি টিম ব্রোঞ্জ ম্যাচ হেরে গেলেও ডাচ কোচ সোয়ের্দ মারিনের কৃতিত্ব ছোট করা যাবে না। রবি দাহিয়ার কোচ কমল মালিকভ, বজরংয়ের কোচ বন্তিনিদিস।
অলিম্পিকে যাওয়া ১২৬ অ্যাথলিটের কথা যদি ধরা হয়, তা হলে সব মিলিয়ে ৩২ জন বিদেশি কোচ ও সাপোর্টস্টাফ এই মুহূর্তে জুড়ে রয়েছে ভারতীয় টিমের সঙ্গে। যাঁরা সাফল্যের ছবিটা দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। সাফল্য দিয়েওছেন। যাঁরা মাসিক ৪ থেকে ১৫ হাজার ডলার মাইনে পান স্পোর্টস অথারিটি অফ ইন্ডিয়া থেকে। এই কোচেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাইনে হকির গ্রাহাম রিডের। ১০ হাজার ডলার পান মারিন। বক্সিং কোচ স্যান্তিয়াগো নিয়েভা পান ৮ হাজার ডলার। একই মাইনে নীরজের কোচ হর্নের।