কলকাতা: শীতের শেষবেলায় শহরে উত্তাপ চড়ছে। শহরের আবেগের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে দুটো নাম। ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagan)। রবিবারের দুপুরেই মহারণ। আর হাইভোল্টেজ ম্যাচ হবে তৃতীয় প্রধানের ডেরায়, অর্থাৎ মহমেডান স্পোর্টিং মাঠে। ফুটবল কিংবা ক্রিকেট নয়। কলকাতা হকি লিগে (Kolkata Hockey League) মুখোমুখি দুই প্রধান। সামনের সপ্তাহেই আইএসএলে মুখোমুখি হবে ইস্ট-মোহন। তবে তার আগে হকিতে একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে। বহু বছর বাদে কলকাতায় হকির উন্মাদনা ফিরে এসেছে। ফুটবলে দুই প্রধানের দল গড়ছে ইনভেস্টর। কিন্তু হকিতে একক ভাবে দল গড়ার দায়িত্বে ক্লাব। তাই ম্যাচের উত্তাপ চড়চড়িয়ে বাড়ছে। ২২ বছর বাদে হকিতে ফিরে এসেছে মোহনবাগান। প্রত্যাবর্তনেই গড়েছে চমক। ইস্টবেঙ্গলের থেকে খেলোয়াড় ছিনিয়ে নিয়ে দল গড়েছে মোহনবাগান। বিস্তারিত Tv9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
কলকাতা বিদ্যুৎ পরিষদ আর ক্যালকাটা কাস্টমসকে প্রথম দুটো ম্যাচে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে মোহনবাগান। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলও টানা তিন ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে। হাওড়া ইউনিয়ন, আদিবাসী ক্লাব, খালসা ব্লুজকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। রবিবার দুপুর ৩টেয় মহমেডান মাঠে মুখোমুখি হবে দুই শিবির। হাইভোল্টেজ ডার্বিতে দেখতে মরিয়া সমর্থকরাও। মোহনবাগান মাঠে হকি দলের সমর্থনে প্রথম দিন থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন বাগান সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল মাঠে সংখ্যাটা তুলনামূলক কম হলেও, রবিবাসরীয় ডার্বিতে প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাতে তৈরি লাল-হলুদ সমর্থকরাও। ফুটবলে ব্যর্থতা চলছে ইস্টবেঙ্গলে। টানা ৭টা বড় ম্যাচে হেরেছে মশাল ব্রিগেড। হকিতে বদলা নেওয়ার আশায় লাল-হলুদ সমর্থকরা।
দুই দলেই তারকার মেলা। ইস্টবেঙ্গল দলে আছেন গুরতেজ সিং, পারদ্বীপ সিং, অঙ্গদবীর সিং, রঞ্জত সিং, মিচেল টপ্নর মতো খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে মোহনবাগান দলে অজিঙ্কা যাদব, জাইয়েদ খান, নীতিশ নিউপেন, আলি আহমেদের মতো খেলোয়াড়রা আছেন। একেবারে সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর। হকি দ্বৈরথের আগে মুখিয়ে দুই দলের কর্তারাও। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘আমরা গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ফলে ছেলেদের উপর ভরসা আছে। এ বারও ওরা দুর্দান্ত খেলছে। শুধু ফুটবল নয়, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান যদি ডাঙ্গুলিতেও মুখোমুখি হয় তাও উন্মাদনা তৈরি হয়।’ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘গত বছর তো আমরা ছিলাম না। তাই ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ বারে তো আমরা আছি। খেলোয়াড়দের জন্য যা যা করণীয় তা আমাদের হকি কমিটি করছে। ফুটবল আর হকি আলাদা ক্ষেত্র। ফুটবলে টানা ৭ বার জিতেছি ঠিকই। এ বার হকি ডার্বিও জিতব।’
দুই প্রধানের মেগা ডুয়েলে সমর্থকদের জন্য আলাদা গ্যালারির ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের জন্য ময়দান থানা আর লালবাজারের সঙ্গেও কথা বলে রেখেছে বাংলার হকি সংস্থা। রবিবারের হাইভোল্টেজ ডার্বিতে আমন্ত্রিত সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে।