নয়াদিল্লি: মেয়েদের টেনিসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সিমোনা হালেপ। দুটি গ্ল্যান্ডস্ল্যাম খেতাব জেতার পাশাপাশি বিশ্ব ক্রমতালিকায় এক নম্বর স্থানও দখল করেছিলেন তিনি। প্রথম সারির এই টেনিস তারকার বিরুদ্ধে উঠল ডোপিংয়ের অভিযোগ। ডোপ টেস্টের পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার পরই তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুক্রবার এই সাসপেন্ডের কথা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ)। জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ জিনিসের নমুমা রক্তে পাওয়া গিয়েছে। তার পরই রোমানিয়ার এই টেনিস তারকার উপর নেমে এসেছে শাস্তির খাঁড়া। এ নিয়ে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সিমোনা হালেপ। ৩১ বছরের এই রোমানিয়ান টেনিস তারকাকে শর্তসাপেক্ষে সাসপেন্ড করা হল। টেনিস অ্যান্টি ডোপিং প্রোগ্রাম (টিএডিপি)-এর ৭.১২.১ আর্টিকেলের অধীনে সাসপেন্ড করা হয়েছে সিমোনাকে।” হালেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নজর রাখুন TV9 Banglarর পাতায়।
মেয়েদের পেশাদার টেনিস সার্কিটে যথেষ্ট সফল ৩১ বছর বয়সি হালেপ। ২০১৮-১৯ সালে গ্রান্ডস্ল্যাম প্রতিযোগিতাগুলিতে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন তিনি। ক্যারোলিন ওজনিয়াকির কাছে হেরে যান। সেই বছরই ফ্রেঞ্চ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। লালমাটির কোর্টে হালেপের খেলা মুগ্ধ করেছিল টেনিসপ্রেমীদের। শুধু লালকোর্টে নয়, ঘাসের কোর্টেও নিজের জাত চিনিয়েছিলেন হালেপ। ২০১৯ সালে উইম্বলডন জিতেছিলেন। এর আগে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁকে।
মহিলা টেনিস তারকাদের বিশ্ব ক্রমতালিকার এক নম্বর স্থানও দখল করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি। সাসপেন্ড হওয়ার সময়ে তাঁর ৯ নম্বর স্থানে রয়েছেন তিনি। বিশ্বের প্রথম দশে থাকা কোনও মহিলা টেনিস তারকার বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ এর আগে ওঠেনি বলেই মত টেনিস বিশেষজ্ঞদের।