দোহা: ইতিহাস তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই । এ বার স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার পালা। তাও সম্ভব হতে পারে, যদি আর একটা ম্যাচ জিততে পারে ভারত। টেবিল টেনিস, বক্সিং, কুস্তি কিংবা শুটিং নয়। এই খেলায় ভারতকে বরাবরই খুঁজে পেতে হয়েছে আতসকাচ লাগিয়ে। সেই বাস্কেটবলেই (Basketball) কিনা মাহেন্দ্রক্ষণের খুব সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৬ টিম (U 16 Basketball Team)। দোহায় ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (Asian Championship) শেষ আটে উঠেছে ভারতীয় দল। কোয়ার্টার ফাইনালে জাপানের মুখে একঝাঁক তরুণ। ওই ম্যাচ জিতলেই অনূর্ধ্ব ১৭ বাস্কেটবল বিশ্বকাপে (U17 Basketball World cup) খেলার সুযোগ পাবে ভারতীয় দল । যদি তা হয়, ইতিহাস তো বটেই ভারতীয় খেলার দিশা হঠাৎ করেই বদলে যাবে। এনবিএ নিয়ে এ দেশেও উন্মাদনা কম নেই। আমেরিকান বাস্কেটবল লিগের বিভিন্ন বড় টিম ভারতের বাজার ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে । এখানে অ্যাকাডেমিও গড়েছে কেউ কেউ। এই সাফল্য নতুন প্রজন্মের বাচ্চাদের ক্রিকেট, ফুটবল, হকির পাশাপাশি বাস্কেটবলের প্রতিও আগ্রহী করে তুলবে।
অতীতে বয়সভিত্তিক এই বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০০৯ সালে, দশম স্থান অধিকার করা। ১৩ বছর আগে সে বারই প্রথম এশিয়ান বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছিল ভারত। পরবর্তীকালে ২০১১ সালে ফের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় টিম ইন্ডিয়া। লিগ স্টেজে পরপর ম্যাচ জিতলেও শেষ আটের ঘরে পৌঁছতে পারেনি । সে বার দ্বাদশ স্থানে প্রতিযোগিতা শেষ করে দেশের অনূর্ধ্ব ১৬ বাস্কেটবল দল ।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল ইন্দোনেশিয়া । বিশ্ব ক্রমতালিকায় ৫০ নম্বরে থাকা ভারত ব়্যাঙ্কিংয়ে নীচে থাকা ইন্দোনেশিয়াকে ৯৭-৫৩ ব্যবধানে প্রায় উড়িয়ে দেয় । তাতেই কাতারের রাজধানীতে শেষ আটের জায়গা পাকা করে ফেলে ভারত । এই জয়ের পিছনে লোকেন্দ্র সিং, জয়দীপ রাঠৌর এবং কুশল সিং ত্রয়ীর কথা না বললেই নয় । ৯৭ পয়েন্টের মধ্যে তিনজনের মিলিত স্কোর ৮৩ । তার মধ্যে লোকেন্দ্রর ৩০ পয়েন্ট । যা এ বারের টুর্নামেন্টের কোনও এক ম্যাচে করা সবচেয়ে বেশি স্কোর । জয়দীপের ২৭ এবং কুশলের ২৬ । এই তিন প্লেয়ারের দুরন্ত পারফরম্যান্সে জেরেই ইন্দোনেশিয়া ছিটকে যায় ।
বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ে ৩২ নম্বর টিম জাপানের বিরুদ্ধে ছক কষা শুরু করে দিয়েছে ভারত। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগে দু’বার ব্রোঞ্জ পাওয়া জাপান কিন্তু অত্যন্ত কঠিন প্রতিপক্ষ। গতি এবং স্কিলের দিক থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। সেই কারণেই ভারত শুরুটা একটু ডিফেন্সিভ মোডেই করতে চায়। এই ম্যাচ যাতে পকেটে পুরতে পারে লোকেন্দ্র, জয়দীপরা, যাতে বিশ্বকাপের টিকিট মেলে তার জন্য মরিয়া হয়ে কোর্টে নামবেন।