Novak Djokovic: জোকারকে খেলতে দেওয়া হোক ইউএস ওপেনে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চাপ দেওয়া শুরু
জোকার যাতে ইউএস ওপেনে খেলতে পারেন, তার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ শুরু করল ওই দেশের রাজনৈতিক মহল।
নিউ ইয়র্ক: নোভাক জকোভিচকে (Novak Djokovic) নিয়ে এ বার শুরু হয়ে গেল রাজনীতি। তার সুফল অবশ্য পেতে পারেন জোকারই। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেন (US Open) খেলতে পারবেন কিনা সার্বিয়ান তারকা, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আমেরিকার নিয়ম ধরলে, ওই দেশে ঢুকতে হলে, কোনও টুর্নামেন্ট খেলতে হলে কোভিড প্রতিষেধক নিতে হবে। শুধু তাই নয়, তার প্রমাণও দেখাতে হবে। কিন্তু ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে জোকার নিজের মতামত অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যতই জোর করা হোক না কেন, প্রতিষেধক তিনি নেবেন না। আর এই ভ্যাকসিন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত একান্ত ভাবেই তাঁর ব্যক্তিগত। এ ব্যাপারে কেউ তাঁকে জোর করতে পারেন না। প্রতিষেধক না নেওয়ার কারণেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামতে পারেননি। তবে ফ্রেঞ্চ ওপেনে জকোভিচের নামতে অসুবিধা হয়নি। রাফায়েল নাদালের (Rafael Nadal) কাছে সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন। উইম্বলডনে (Wimbledon) অবশ্য তিনিই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
জোকার যাতে ইউএস ওপেনে খেলতে পারেন, তার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ শুরু করল ওই দেশের রাজনৈতিক মহল। আমেরিকায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া না হলে শুধু যে ইউএস ওপেন খেলতে পারবেন না তাই-ই নয়, টরেন্টো ও সিনসিনাটি ওপেনেও নামতে পারবেন না। যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না আয়োজকরা। জোকারের মতো প্লেয়ার না খেললে স্পনসররাও যে আগ্রহ হারাবেন, জৌলুসও কমে যাবে টুর্নামেন্টের। সে কথা মাথায় রেখেই হয়তো চাপ দেওয়া শুরু হয়েছে।
টেক্সাসের সিনেটর ড্রিউ স্প্রিঙ্গার টুইটারে আবার সরাসরি আক্রমণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। প্রতিষেধক ছাড়াই ঝাঁকে ঝাঁকে রিফিউজিরা ঢুকে পড়ছেন মার্কিন মুলুকে। কিন্তু জোকারকে নিয়মের ফাঁসে দূরে রাখা হবে। ড্রিউয়ের কথায়, ‘নোভাক জকোভিচকে ইউএস ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন। কিন্তু লক্ষ লক্ষ লোককে দেশে ঢুকতে দিচ্ছে, যাদের ভ্যাকসিন নেওয়া নেই। প্রতিষেধক না নেওয়া আর এক জনকে ঢুকতে না দিলে সমস্যা কোথায়?’ ড্রিউয়ের মতোই কিন্তু আওয়াজ তুলেছেন আরও অনেকে।