BWF World Championships: ‘মা চায় আমি এ বার সাময়িক বিরতি নিই, লক্ষ্য সেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Dec 19, 2021 | 5:04 PM

Lakshya Sen: বিশ্ব মিটের সেমিফাইনালে ভারতেরই অপর এক তারকা শাটলার কিদাম্বি শ্রীকান্তের কাছে হেরে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে ২০ বছরের লক্ষ্যকে। তবে তিনি স্পর্শ করে ফেলেছেন প্রকাশ পাড়ুকোন ও বি সাই প্রণীতকে।

BWF World Championships: মা চায় আমি এ বার সাময়িক বিরতি নিই, লক্ষ্য সেন
BWF World Championships: 'মা চায় আমি এ বার সাময়িক বিরতি নিই, লক্ষ্য সেন

Follow Us

হুয়েলভা: সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় শাটলার হিসেবে, বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের (BWF World Championships) সেমিফাইনালে পৌঁছে আগেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। তার পর প্রথম বার বিশ্ব মিটে নেমেই পদক জয়। সেমিফাইনালে ভারতেরই অপর এক তারকা শাটলার কিদাম্বি শ্রীকান্তের কাছে হেরে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে ২০ বছরের লক্ষ্যকে। তবে তিনি স্পর্শ করে ফেলেছেন প্রকাশ পাড়ুকোন ও বি সাই প্রণীতকে। ম্যাচের পর তিনি জানালেন, এ বার তাঁর মা চান ছেলে বাড়ি ফিরে এসে কিছুদিনের বিরতি নিক।

সেমিফাইনাল ম্যাচের পর লক্ষ্য বলেন, “আমার সাফল্যের জন্য আমার মা গর্বিত। কিন্তু তিনি চান আমি যেন এ বার বিরতি নিই। আসলে আমি টানা অনেকগুলো টুর্নামেন্টে খেলেছি। তাই মা এটা নিয়ে চিন্তিত। তিনি চান আমি যেন এ বার বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই ও বিশ্রাম করি।”

একই সঙ্গে লক্ষ্য জানান, তিনি একটা ছোট্ট বিরতি নিয়ে ফের অনুশীলনে ফিরবেন। লক্ষ্য বর্তমানে তৃতীয় ভারতীয় শাটলার যিনি, বিশ্ব মিটে ব্রোঞ্জ অর্জন করলেন। ১৯৮৩ সালে প্রথম বার ভারতীয় হিসেবে এই টুর্নামেন্টে ব্রোঞ্জ অর্জন করেছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। এর পর ২০১৯ সালে বি সাই প্রণীতও বিশ্ব মিটে পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ।

সেমিফাইনালে কিদাম্বি শ্রীকান্তের কাছে হেরেছেন লক্ষ্য। সে ব্যাপারে তিনি বলেন, “ও (কিদাম্বি) কোর্টে একজন চূড়ান্ত ফিট প্লেয়ার। শেষ পর্যন্ত অনেক ভালো স্ট্রোক খেলেছিল। নেট থেকে নেওয়া শটগুলো আমি আর একটু তীক্ষ্ণ খেলতে পারতাম। তৃতীয় গেমে যে কারণে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ অবধি আমরা দু’জনই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তবুও ও শেষ দিকে ভালো ম্যানেজ করেছিল।”

টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নন লক্ষ্য। ম্যাচের শেষে বলেন, “এটা একটা লম্বা টুর্নামেন্ট ছিল এবং আপনি যখন খেতাবের এত কাছাকাছি থাকেন তখন এমন হার মেনে নেওয়া কঠিন। আমি, অন্তত, একটি ব্রোঞ্জ পেয়েছি, তবে আমি খুশি নই। আমি সেমিফাইনালের পারফরম্যান্সে খুব বেশি সন্তুষ্ট নই। আমি অনেক ভালো ম্যাচ খেলেছি, কিছু কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছি। এমনকি সেমিফাইনালে এই ম্যাচটা খুব কাছাকাছি ছিল। এটা যে কারও পক্ষে যেতে পারত। পদক এমন জিনিস যা অপেক্ষা করতে শেখায়… পরের বার আমি খেলতে নামব সোনা জেতার জন্য।”

Next Article