নয়াদিল্লি: অলিম্পিকে (Olympics) টেনিস (Tennis) থেকে আরও একটা পদক আনতে ভারতের সময় লাগবে। আর কেউ নন, এমন মন্তব্য খোদ লিয়েন্ডার পেজের (Leander Paes)। বেকবাগানের ছেলে এখন গোয়ায় ছুটি কাটাচ্ছেন। অভিনেত্রী কিম শর্মার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মিলেছে ইন্সটাগ্রামে। যা বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে।
১৯৯৬ সাল থেকে ধরলে এই প্রথম অলিম্পিকে দেখা যাবে না লিয়েন্ডারকে। আটলান্টা অলিম্পিকের সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন লি। দীর্ঘ সময় পর সেই ছিল ভারতের প্রথম ব্যক্তিগত অলিম্পিক পদক। তার পর অন্যান্য ইভেন্ট থেকে মেডেল এলেও টেনিস থেকে আর আসেনি। লিয়েন্ডার বলছেন, ‘ছেলে-মেয়েদের টেনিস অনেক পাল্টে গিয়েছে। ফিটনেসের সঙ্গে মানসিক কাঠিন্য এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে টেকনিকেও অনেক রদবদল এসেছে। যে কারণে আমার মনে হয়, অলিম্পিকের টেনিস থেকে পদক পেতে ভারতকে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।’
কেন লিয়েন্ডার, মহেশ ভূপতির পর আর কোনও প্লেয়ার উঠে এলেন না, যিনি বা যাঁরা ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পাবেন? সানিয়া মির্জা, রোহন বোপান্না একটা সময় কিছুটা চমক দেখালেও সার্বিক অর্থে ধারাবাহিক নন। ৪৪ বছরের লিয়েন্ডার যা নিয়ে বলছেন, ‘ব্যাপারটা এমন নয় যে, কোনও একজন অলিম্পিকে নামছে বলে সবাই প্রার্থনা করলাম, আর সে পদক পেয়ে গেল। পদক পেতে হলে ঠিকঠাক চ্যাম্পিয়ন তৈরি করতে হয়। ওই জায়গাটা পৌঁছতে সারা জীবন লেগে যায়। নিজের উপর বিশ্বাস আর পরিশ্রমটাও লাগে।’
টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ভারতের হয়ে খেলতে দেখা যাবে শুধু সানিয়া মির্জা ও অঙ্কিতা রায়নাকে। তাও সিঙ্গলস নয়, শুধু মাত্র ডাবলসে। গত এক দশকের অলিম্পিকের নিরিখে এত খারাপ হাল ভারতীয় টেনিসের আর কখনও দেখা যায়নি। ছেলেদের টেনিস কোনও ভারতীয় প্রতিযোগীকে দেখাই যাবে না। যা নিয়ে কথাও বলতে শুরু করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: এক অ্যাথলিট সহ আরও ৫ আক্রান্ত, আতঙ্ক বাড়ছে অলিম্পিকে