#BIG NEWS# TABLE TENNIS: এবার গড়াপেটায় ‘অভিযুক্ত’ বাংলার টিটি কোচ সৌম্যদীপ

সৌম্যদীপের সঙ্গে মণিকার ঝামেলার সূত্রপাত টোকিও গেমস থেকেই। ব্যক্তিগত কোচকে অলিম্পিকের সময় চেয়েছিলেন মণিকা।

#BIG NEWS# TABLE TENNIS: এবার গড়াপেটায় 'অভিযুক্ত' বাংলার টিটি কোচ সৌম্যদীপ
সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 9:51 PM

কলকাতা: ভারতীয় টেবল টেনিস টিমের কোচ সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে এলেন মণিকা বাত্রা। গত মার্চ মাসে অলিম্পিকের যোগ্যতা পর্বের একটা ম্যাচ নাকি মণিকাকে ছাড়তে বলেছিলেন প্রাক্তন জাতীয় প্লেয়ার সৌম্যদীপ।

টোকিও অলিম্পিকের সময় মণিকা-সৌম্যদীপ ঝামেলার সূত্রপাত। মণিকার হারের পর শোনা গিয়েছিল, মুম্বইয়ের মেয়ে নাকি কোচ সৌম্যদীপের কোনও পরামর্শই শুনতে চাননি। যে ঘটনার গভীরে ঢুকে মণিকাকে শো-কজ করে টেবল টেনিস ফেডারেশন। সেই শো-কজের উত্তর দিতে গিয়েই পাল্টা অভিযোগ করেছেন মণিকা।

টিটিএফআইয়ের সচিব অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে মণিকা সাফ লিখেছেন, ‘দোহায় মার্চ মাসে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বে জাতীয় কোচ আমার উপর চাপ তৈরি করেছিলেন ম্যাচ ছাড়ার জন্য। যাতে ওঁর এক ছাত্রী অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।’

সৌম্যদীপের ছাত্রী মানে কার কথা বলতে চাইছেন মণিকা? সৌম্যদীপের ছাত্রী হিসেবে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ছিলেন অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্ট খেলতে দোহায় ছিলেন। ঘটনাচক্রে ১৯ মার্চ মণিকাকে হারিয়েই টোকিও গেমসের টিকিট পেয়েছিলেন সুতীর্থা। মণিকা কি ওই ম্যাচটার কথাই ইঙ্গিত করছেন? টিটিমহলের প্রশ্ন এটাই। মণিকার অভিযোগের ভিত্তিতে সৌম্যদীপের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল টিভি নাইন বাংলার তরফে। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় উত্তর মেলেনি।

জাতীয় টেবল টেনিস ফেডারেশনের সচিব অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ম্যাচ গড়াপেটার ব্যাপার এটা। তবে, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। গভীরে ঢুকে দেখতে হবে ব্যাপারটা কী। এত দিনের পুরনো ঘটনা এখন বলছে কেন মণিকা? সৌম্যদীপকে এর পরিপ্রেক্ষিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উত্তরের অপেক্ষায় আছি আমরা।’

সৌম্যদীপের সঙ্গে মণিকার ঝামেলার সূত্রপাত টোকিও গেমস থেকেই। ব্যক্তিগত কোচকে অলিম্পিকের সময় চেয়েছিলেন মণিকা। যাতে রাজি ছিল না টিটিএফআই। মণিকা তাতে বিস্তর চটেছিলেন। সৌম্যদীপ হাজির থাকা সত্ত্বেও তাঁর কোনও পরামর্শ শুনতে চাননি। যা নিয়েই বাড়তে থাকে জটিলতা। মণিকা দাবি তুলেছিলেন, সুতীর্থা যদি তাঁর কোচ হিসেবে সৌম্যদীপকে পাশে পান, তা হলে কেন তিনি নিজের কোচকে রাখতে পারবেন না?

অরুণবাবু কিন্তু ওই বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, ‘সৌম্যদীপ কোনও ভাবেই সুতীর্থার ব্যক্তিগত কোচ নয়। ও সৌম্যদীপের অ্যাকাডেমিতে খেলে। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, অলিম্পিকের সময় আমরা জাতীয় কোচ হিসেবে সৌম্যদীপকেই রেখেছিলাম। যিনিই কোচ হন না কেন, তাঁর কথা শুনতেই হবে। আশ্চর্যের হল, সৌম্যদীপের কোচিংয়ে মণিকা কিন্তু দীর্ঘদিন খেলছে। হঠাৎ কী এমন হল যে, ওর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনতে হল?’

সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ আনাই নয়, মণিকার দাবি তিনি তথ্যও পেশ করতে পারেন নিজের অভিযোগের সমর্থনে। চিঠির উত্তরে মণিকা লিখেছেন, ‘আমার হোটেল রুমে এসে জাতীয় কোচ প্রায় কুড়ি মিনিট কথা বলেছিলেন। যাতে আমি ম্যাচটা ছেড়ে দিই। সেই তথ্য কিন্তু আমার কাছে আছে। যদি চাওয়া হয়, তাও দিতে তৈরি আছি।’

ভারতীয় খেলাধুলোয় ম্যাচ গড়াপেটার গল্প নতুন নয়। ক্রিকেট থেকে ফুটবল কলঙ্কিত হয়েছে এই ঘটনায়। মণিকার অভিযোগ কতটা সত্যি, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।