হানঝাউ: শেষ জাম্পটার সময় হানঝাউয়ের অলিম্পিক স্টেডিয়াম উল্লাসে লাফাচ্ছে, নাচছে। যত গতি বাড়ছে, তত যেন গর্জন বাড়ছে দর্শকদের। তিনি টেকঅফও করলেন। কিন্তু সেই ৮ মিটার লাফে রেকর্ড করা হল না। ভারতীয় লংজাম্পার চেষ্টা করেছিলেন নিজেকে ছাপিয়ে যেতে। চিনা অ্যাথলিট ওয়াং জিয়ানান পর্যন্ত টেনশনে ভুগছিলেন। ৮.২২ মিটার লাফিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ভারতীয় লংজাম্পার টপকে যাবেন না, তার গ্যারান্টি কোথায়! সোনা নয়, শেষ পর্যন্ত রুপোতেই থামতে হল মুলরী শ্রীশঙ্করকে (Murli Sreeshankar)। কিন্তু তাঁর এই সাফল্য এক নতুন দিক খুলে দিল ভারতের ট্র্য়াক অ্যান্ড ফিল্ডের ইতিহাসে। TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।
১৯৭৮ সালের ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে শেষবার লংজাম্প থেকে পদক এসেছিল ভারতের। সে বার ৭.৮৫ মিটার লাফিয়ে সোনা জিতেছিলেন কেরালারই সুরেশ বাবু। ৪৫ বছর অপেক্ষা করতে হল ভারতকে, পরবর্তী এশিয়ান গেমস পদকের জন্য। সুরেশ বাবুর রাজ্যেরই আর এক অ্যাথলিট শ্রীশঙ্করকে রুপো পেতে লাফাতে হল ৮.১৯ মিটার। জুন মাসে ডায়মন্ড লিগে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন পালাক্কড়ের ছেলে। নীরজ চোপড়া, বিকাশ গৌড়ার পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় অ্যাথলিট প্রথম তিনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেই ৮.০৯ মিটার লাফ যে আচমকা আসেনি, তা এশিয়ান গেমসের আসরে আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন শ্রীশঙ্কর।
প্রথমটা লাফটা বাতিল হয়ে যায় ২৪ বছরের শ্রীশঙ্করের। পরের লাফটা ছিল ৭.৮৭ মিটার। এর পর প্রতিটা লাফে উন্নতি করেছেন। ৮.০১ মিটার লাফিয়ে যে আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিলেন, সেটাই শ্রীশঙ্করকে টেনে নিয়ে গেলেন ৮.১৯ মিটারে। জিয়ানান ৮.২২ মিটার লাফিয়েছিলেন। সেটাও ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন শ্রীশঙ্কর। আর তা পারলে ৪৫ বছর পর এশিয়ান গেমসের লংজাম্প থেকে সোনাই আসত। তা হল না। মাত্র ৩ সেন্টিমারের জন্য রুপোতেই থামতে হল শ্রীশঙ্করকে। কেরালার ছেলের এই রুপোতেই কিন্তু পদকের খাতায় হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছিল ভারত।