নীজন চোপড়ার নাম কে না জানেন! ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র। টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর থেকে সারা বিশ্ব তাঁকে চেনে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতকে প্রথম অলিম্পিক পদক জিতিয়েছেন নীরজ। জিতেছেন ঐতিহ্যের ডায়মন্ড লিগ। উঠতি খেলোয়াড়দের কাছে আইকন। বর্তমানদের কাছে ঈর্ষা নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিকের পর থেকেই একের পর এক সাফল্য। চোট সমস্যা না থাকলেও আরও ট্রফি ঢুকতো নীরজের ক্যাবিনেটে। এত অল্প বয়সেই যিনি সাফল্যের চূড়ায়, তিনি যদি কোনও তরুণ জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে নিজে থেকে ফোন করেন? হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই পরিস্থিতি হবে। ঠিক তেমনটাই হয়েছে পাকিস্তানের এক তরুণ জ্যাভলিন থ্রোয়ারের ক্ষেত্রে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports– এর এই প্রতিবেদনে।
গত মাসে এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসেছিল ব্যাঙ্ককে। ব্রোঞ্জ পদক জেতেন পাকিস্তানের তরুণ জ্যাভলিন থ্রোয়ার মহম্মদ ইয়াসির। ৭৯.৯৩ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে পদক জেতেন ইয়াসির। এরপরই অবাক হওয়ার পালা পাকিস্তানের এই তরুণ জ্যাভলিন থ্রোয়ারের। পাকিস্তানের জিও টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে ইয়াসির বলেন, ‘আমার কাছে পুরোপুরি সারপ্রাইজ। দারুণ আনন্দের মুহূর্ত। নীরজ চোপড়া আমাকে ফোন করেছিল। এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানায় আমাকে। ওখানে আমি ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। ভবিষ্যৎ ইভেন্টের জন্যও শুভেচ্ছা জানায় নীরজ।’
এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে ২৭টি পদক জিতেছে ভারত। এর মধ্যে আধডজন সোনার পদক। পাকিস্তান একটি মাত্রই পদক জিতেছে। সেটি এসেছে ইয়াসিরের সৌজন্যে। পাকিস্তানের এই তরুণ আরও জানান, নীরজকে নানা ভাবে অনুকরণের চেষ্টা করেন। ইয়াসিরের কথায়, ‘ভারত ও পাকিস্তানের অ্যাথলিটদের মধ্যে মূল পার্থক্য, ভারতীয় অ্যাথলিটরা দীর্ঘ দিন বিদেশি কোচের তত্ত্বাবধানে অনুশীলনের সুযোগ পায়। দেশে পরিকাঠামো খুবই ভালো। সে কারণেই ভারত থেকে সেরা অ্যাথলিটরা উঠে আসেন। দুর্ভাগ্যবশত পাকিস্তানে অনুশীলনের সরঞ্জাম টুকুও ঠিকঠাক ভাবে পাই না। বিদেশি কোচ দূর অস্ত। নিজেদের মতো করে সব কিছু মানিয়ে নিতে হয়। ‘