বেলগ্রেদ: কোভিডবিধি যেন পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে নোভাক জকোভিচের (Novak Djokovic) সামনে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (Australian Open) খেলতে পারেননি। ওই দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আর তার মধ্যেই আবার ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রক ঘোষণা করে দিয়েছে, রোলাঁ গারোয় (Roland Garros) খেলতে হলে প্রতিষেধক নিতে হবে জোকারকে। তা না হলে তিনি নামতে পারবেন না ফরাসি ওপেনে। এতেই শেষ হচ্ছে না। স্পেনে ঢুকতেও এ বার বাধা। জকোভিচ যখন তীব্র জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তখন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেস জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দেশে ঢুকতে হলে করোনাবিধি মানতে হবে জোকারকে। তাতে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা আবার বিপাকে পড়েছেন। সার্বিয়ান টেনিস প্লেয়ারের কাছে স্পেন নিজের দেশের মতোই। দক্ষিণ স্পেনের মারবেলাতে নিজস্ব রিসর্ট রয়েছে তাঁর। কিন্তু চাইলেই সেখানে যেতে পারবেন না।
ইউরোপ জুড়ে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। সব দেশই কোভিডবিধি মেনে চলার পক্ষে নির্দেশিকা জারি করেছে। দেশের সবাই যাতে করোনার প্রতিষেধক নেন, তাও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তার মধ্যে জোকারের ঘটনা আরও বেশি করে প্রভাব ফেলেছে এই প্রক্রিয়ায়। অন্য দেশের যেই পা রাখুন ইউরোপ সহ অধিকাংশ দেশে, তাঁকে বাধ্যতামূলক ভাবে ভ্যাকসিন নিতে হবে। মেডিক্যাল ছাড়পত্র থাকলেও তাঁকে নিজেদের দেশে ঢুকতে দেবে না, এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হয়েছে।
জার্মান চ্যাঞ্চেসেলর ওল্ফ স্কোলজ় স্পেন সফরে গিয়েছেন। সোমবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সাঞ্চেসের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘প্রতি দেশের নিজস্ব নিয়ম আছে। তা মেনে চলতে হবে। আর নিয়মের ক্ষেত্রে সবাই সমান। কারও জন্য আলাদা হবে না।’
স্পেনে নিজের বাড়িতে প্রায়ই ছুটি কাটাতে যান জোকার। গত ডিসেম্বরের শেষেও সেখানে গিয়েছিলেন। জানুয়ারির শুরুতে সেখান থেকে ফিরেছেন। কিন্তু নতুন নিয়ম বলবত্ হয়ে যাওয়ায় জোকারের কাজ কঠিন হবে এখন। আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট যেমন রাখতে হবে, তেমনই দুটো ভ্যাকসিন ডোজ়ও নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Novak Djokovic: নতুন সমস্যার মুখে জোকার— নো ভ্যাকসিন, নো ফরাসি ওপেন