বেলগ্রেড: অলিম্পিকে (Olympics) সার্বিয়াকে (Serbia) সোনা এনে দেওয়ার জন্যই একমাত্র টোকিওর (Tokyo) ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে চলেছেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। ফাঁকা গ্যালারিতে খেলার কষ্ট হলেও, দেশপ্রেমের জন্যই জোকার অলিম্পিকে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাফায়েল নাদাল, রজার ফেডেরারের মতো কিংবদন্তি টেনিস তারকারা। কিন্তু বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ সেই পথে হাঁটেননি। কিন্তু, উইম্বলডন জয়ের পর করোনার কারণেই ভেবেছিলেন অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়াবেন। তবে শেষ পর্যন্ত দেশের কথা ভেবেই জাপানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জোকার।
তবে টোকিও গেমসে (Tokyo Games) দর্শকদের অনুপস্থিতি কষ্ট দেবে তাঁকে, এমনটাই বলছেন জকোভিচ। তাঁর কথায়, “সার্বিয়ার প্রতি আমার অনুভূতির জন্যই আমি অলিম্পিকে নামব। দর্শকরা থাকবে না বলে আমি খুব একটা খুশি নই। তাছাড়া জাপানে করোনার বাড়াবাড়ির জন্য নানা বিধিনিষেধও রয়েছে। কিন্তু অলিম্পিকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার একটা আলাদাই মর্যাদা রয়েছ।”
তবে জোকারের অলিম্পিক যাওয়ার পিছনে ভূমিকা রয়েছে ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ব্ল্যাঙ্কা ভ্ল্যাসিকেরও (Blanka Vlasic)। তিনি জকোভিচকে অলিম্পিক থেকে না সরে আসার জন্য বুঝিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে জকোভিচ বলেন, “কিছু দিন আগে আমি ব্ল্যাঙ্কা ভ্ল্যাসিকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেন মানুষ শুধু মনে রাখবে কে পদক জিতেছে। কোন পরিস্থিতিতে জিতেছে, দর্শকরা সেখানে উপস্থিত ছিল কিনা তা কেউ মনে রাখবে না।”
জোকার আরও যোগ করেন, “তাঁর কথাগুলো আমার মনে গেঁথে গিয়েছিল। আমি আনন্দের সঙ্গে তারপর সিদ্ধান্ত নিই আমি অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করব। শুধু তাই নয়, আমি আমার সেরা খেলাটা উজাড় করে দেব এবং আমি আত্মবিশ্বাসী এই মরসুমে আমি দেশকে সোনা এনে দেব।”
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: টোকিওতে পদক জেতার স্বপ্নে বুঁদ দীপিকা