2022 Winter Olympics: মানবতার প্রশ্নে বেজিং উইন্টার অলিম্পিক বয়কটের পথে আমেরিকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 18, 2021 | 8:24 AM

আমেরিকার একটি নামী কাগজের খবর অনুযায়ী, চিনের নানা পলিসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। তবে দুই দেশের রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে উইন্টার অলিম্পিক নিয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু তার আগে থেকেই আমেরিকা শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিকে অনেকটাই নাকি এগিয়ে গিয়েছে।

2022 Winter Olympics: মানবতার প্রশ্নে বেজিং উইন্টার অলিম্পিক বয়কটের পথে আমেরিকা
2022 Winter Olympics: মানবতার প্রশ্নে বেজিং উইন্টার অলিম্পিক বয়কটের পথে আমেরিকা (ছবি-টুইটার)

Follow Us

নিউ ইয়র্ক: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বেশ কিছু দিনের। এত দিন তা এড়িয়ে গেলেও এ বার আর পারছে না আমেরিকা। আর তাই বেজিংয়ের শীতকালীন অলিম্পিক ‘কূটনৈতিক বয়কট’ করার দিকে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা যদি সত্যিই হয়, সরকারি ভাবে কোনও পাঠাবে না তারা। সম্প্রতি আমেরিকা ও চিনের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (Joe Biden) ও জ়ি জিংপিংয়ের (Xi Jinping) ভার্চুয়াল বৈঠকের পরই এই খবর প্রকাশ হয়ে পড়েছে।

আমেরিকার একটি নামী কাগজের খবর অনুযায়ী, চিনের নানা পলিসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। তবে দুই দেশের রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে উইন্টার অলিম্পিক নিয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু তার আগে থেকেই আমেরিকা শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিকে অনেকটাই নাকি এগিয়ে গিয়েছে। যদি তা সত্যি হয়, তা হলেও আমেরিকান অ্যাথলিটরা অংশ নিতে পারবেন এই অলিম্পিকে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আইওসির ব্যানারে নামতে হবে গেমসে।

চিনে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের চিনা কাহিনি নতুন নয়। তাদের কার্যত সব রকম সুযোগ সুবিধা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারও নেই তাদের। মানবতার উপর আঘাত বিশ্বের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন দেশগুলো মেনে নিতে নারাজ। অলিম্পিক অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা না হলেও মানবতার লঙ্ঘন নিয়ে কথা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রপতির। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সব সময় সোজা কথা বলা পছন্দ করেন। সামনে তাকান। ভবিষ্যতের জন্য ভাবেন। আর তাই উনি কোনও বার্তা দিতে চাইলে, তা থেকে পিছপা হন না।’

২০২২ সালে বেজিংয়ে হওয়ার কথা উইন্টার অলিম্পিক। যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই দাবি তুলছেন, আমেরিকার উচিত ছিল অনেক আগেই চিনের কাছ থেকে শীতকালীন অলিম্পিক কেড়ে নেওয়া উচিত ছিল। একজন বলছেন, ‘হোয়াইট হাউসের উচিত ছিল এ ব্যাপারে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর যদি নেওয়া যেত, তা হলে চিনের মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো যেত। যাই হোক না কেন, অনেকটাই যে দেরি হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।’

Next Article