Special Olympics Bharat: সচেতনতা বাড়াতে স্পেশাল অলিম্পিক ভারতের বিশেষ ইভেন্ট

Special Olympics Bharat Event: তারা নানা ক্ষেত্রেই সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি ক্রীড়াক্ষেত্রেও। কিন্তু তাদের সঠিক দিশা দেখানো প্রয়োজন। তা হলেই নিজেদের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারবে তারা। বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের মধ্যে এই সচেতনা বাড়াতে এগিয়ে এল স্পেশাল ভারত অলিম্পিক। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

Special Olympics Bharat: সচেতনতা বাড়াতে স্পেশাল অলিম্পিক ভারতের বিশেষ ইভেন্ট
Image Credit source: PTI FILE
Follow Us:
| Updated on: Nov 18, 2024 | 7:38 PM

ওরা বিশেষ ভাবে চাহিদা সম্পন্ন। আর দশটা মানুষের মতো হয়তো বুদ্ধির বিকাশ ঘটেনি। যে বয়সে যতটা বুদ্ধিদীপ্ত হওয়া প্রয়োজন, তেমন হয়নি। তবে তারা যে বিশেষ বুদ্ধি ধরে এবং আর দশটা মানুষের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়েও থাকে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তারা নানা ক্ষেত্রেই সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি ক্রীড়াক্ষেত্রেও। কিন্তু তাদের সঠিক দিশা দেখানো প্রয়োজন। তা হলেই নিজেদের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারবে তারা। বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের মধ্যে এই সচেতনা বাড়াতে এগিয়ে এল স্পেশাল ভারত অলিম্পিক। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

ভারতের জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার স্পেশাল অলিম্পিক ভারত এমন অ্যাথলিটদের জন্যই একটি বিশেষ ইভেন্ট আয়োজন করে রবিবার। যেখানে বুদ্ধির দিক থেকে তথাকথিত পিছিয়ে থাকা অ্যাথলিটরা অংশ নেয়। তাদের বিশেষ প্রতিভাকে যাতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় বা বলা ভালো সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই সচেতনতা বাড়াতেই এই ইভেন্ট। সব মিলিয়ে ১৫ জন বিশেষ ভাবে চাহিদা সম্পন্ন শিশুকে এই ইভেন্টে আনা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিখ্যাত গায়ক অমিত কুমার। সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন প্রথিতযশা শিল্পী ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।

ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এবং স্পেশাল অলিম্পিক ভারতের চেয়ারপার্সন মল্লিকা নাড্ডা। এই ইভেন্টের গুরুত্ব প্রসঙ্গে মল্লিকা নাড্ডা বলেন, ‘এই সম্প্রীতির ইভেন্ট শুধুই পারফরম্যান্সের কারণে নয় বরং সকলকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখানোই আসল উদ্দেশ্য। শিশুরা যাতে নিজেদের বিশেষ ক্ষমতা বুঝতে পারে, সেই উপলব্ধি করানোই লক্ষ্য। ওদের এটা বোঝানো, বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী তারা। পাশাপাশি সমাজের জন্যও একটা বার্তা দেওয়া এই ইভেন্টের মাধ্যমে।’

স্পেশাল অলিম্পিক ভারতের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে-এই ইভেন্টর মাধ্যমে একটা মান তৈরি করা হয়েছে। সমাজ চাইলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই শিশুদের পাশে নানা ভাবে দাঁড়াতে পারে, ওদের ভরসা দিতে পারে। এটা একটা অনুষ্ঠানের চেয়েও অনেক বৃহত্তর স্বার্থে করা।