Kasba: TMC কাউন্সিলরকে খুনে ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল? পুলিশি জেরায় স্বীকার অভিযুক্তের
Kasba: পুলিশের দাবি,জেরায় সহযোগিতা করছে না অভিযুক্ত। নিজের পরিচয় নিয়েও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছে সে। সেই কারণে এই ঘটনায় বিহার বাদে আরও কারও যোগ রয়েছে কি না তা জানতে তদন্তে অন্য রাজ্যেও গিয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি দল।
কসবা: কসবাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিহার গ্যাংকে সুপারি দিয়েছিলো গুলজার। পুলিশি জেরায় তদন্তকারীদের এমনটাই জানিয়েছে অভিযুক্ত। তবে পুরো টাকার লেনদেন হয়নি বলেও দাবি করেছে গুলজার। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার নিজের বাড়ির সামনে আক্রান্ত হন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তাঁর উপর গুলি চালানোর চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যেই অন্যতম হল এই গুলজার। যে কি না কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় ‘মাস্টারমাইন্ড’। তেমনটাই বলছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় সহযোগিতা করছে না অভিযুক্ত। নিজের পরিচয় নিয়েও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছে সে। সেই কারণে এই ঘটনায় বিহার বাদে আরও কারও যোগ রয়েছে কি না তা জানতে তদন্তে অন্য রাজ্যেও গিয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি দল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের এই পাপ্পু গ্যাং-কেই সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সেই গ্যাং-এর চারজন কলকাতায় আসে। একজন মাস খানেক আগেই এ শহরে এসে থাকতে শুরু করে। এরপর বৃহস্পতিবার আরও তিনজন আসে। বিহার থেকে আসা চার জনের মধ্যে তিন জনই ছিল সার্প শ্যুটার। তার মধ্যে পুলিশের জালে ধৃত যুবরাজ কুমার এই দলে নতুন সদস্য। তিন জন সার্প শ্যুটার থাকলেও কেন যুবরাজকে ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
আরও জানা যাচ্ছে, তিন জন শ্যুটারের বিরুদ্ধে ৩০ টির বেশি মামলা আছে বিহার ও ভিন রাজ্যে। যার মধ্যে খুন,ডাকাতি,অস্ত্র আইনের মতো মামলাও রয়েছে। এই পাপ্পু গ্যাং-এর পাপ্পু চৌধরী একাধিক রাজ্যে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ক্রিমিনাল। ফলত, কবে গুলজার এই গ্যাং-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।