টোকিও: কোনও প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতার জ্বালা কী? যদি ক্রিকেট কিংবা ফুটবল হয়, তাহলে বলতে হবে ফাইনালে হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা। কিন্তু যদি অলিম্পিকের মঞ্চ হয়? বলতে হবে, পদক হাতছাড়ার কথা। হাতছাড়া তো অনেকেই করেন, কিন্তু চতুর্থ স্থানে যাঁরা শেষ করেন তাঁদের চেয়ে খারাপ ভাগ্য আর কাদেরই বা হতে পারে? মিলখা সিং, পিটি ঊষা, জয়দীপ কর্মকার, দীপা কর্মকাররা জানেন এই জ্বালা কী। আজীবন সঙ্গী থাকে যন্ত্রণা। সেই তালিকায় এ বার যোগ গল্ফার অদিতি অশোক।
অলিম্পিকে গল্ফের আসরে ভারতের পদক নেই। এ বার হঠাত্ই পদকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর সেই আশা দেখান বেঙ্গালুরুর ২৩ বছরের গল্ফার অদিতি অশোক। টানা ৩ দিন ৩টে রাউন্ড শেষেও দু নম্বরে ছিলেন তিনি। চতুর্থ দিন ফাইনাল রাউন্ডে আর ভাগ্য সহায় দিল না অদিতির। শেষ করলেন চার নম্বরে। পরের অলিম্পিকে পদক জেতার সুযোগ থাকবে অদিতির কাছে। কিন্তু টোকিওর এই জ্বালা কী মিটবে? অদিতি নিজেই বলছেন, ‘অলিম্পিকে চতুর্থ হয়ে শেষ করার যন্ত্রণা মেটার নয়। অন্য কোনও টুর্নামেন্ট হলে আমি খুশিই হতাম। কিন্তু অলিম্পিকের আসরে এই পজিশন আমাকে মোটেই তৃপ্তি দেবে না। নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার পরেই পদক পেলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পদক জিততে চেয়েছিলাম। হয়তো আমার পারফরম্যান্সে সবাই খুশি হয়েছে। তবে আমি চেয়েছিলাম অলিম্পিকের পদক মঞ্চে উঠতে। এরপর হয়তো ভারতে গল্ফে অনেকেই আগ্রহ দেখাবে। নতুন প্রজন্মের অনেকে উঠে আসবে।’ ১০০ বছর পর গত রিও অলিম্পিকে গল্ফ ফিরেছিল। সে বছর ৪১ নম্বরে শেষ করেছিলেন অদিতি।
অলিম্পিকের আরও খবর দেখতে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০