টোকিও: অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথমবার এক ট্রান্সজেন্ডারের পদক জেতার নজির। এর আগে অলিম্পিকের মঞ্চে যা কখনও হয়নি, তাই এ বার দেখল দুনিয়া। কানাডার মহিলা ফুটবল দলের সদস্য কুইন (Quinn) দেশের হয়ে পদক জেতার নজির গড়লেন। এরই সঙ্গে তৈরি হল ইতিহাসও। মেয়েদের ফুটবলে ফাইনালে উঠেছে কানাডা। সেমিফাইনালে হারিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।
শুক্রবার সুইডেনের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে কানাডার মেয়েরা। দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই রুপো নিশ্চিত করে ফেলেছেন কুইন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হারানোর পর তিনি বলেন, ‘জেতার পরই সবাই আমাকে মেসেজ করে অভিবাদন জানায়। তারপরই জানতে পারি যে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে পদক জেতার নজির গড়লাম আমি। আমার জীবনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হল এই খেলাধূলা। খেলাধূলার প্রতি ভালোবাসার জন্যই আজ আমি এখানে এসে পৌঁছেছি।’
নজিরের দিনে আবেগতাড়িতও হয়ে পড়েন কুইন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই বুঝতে পারছি না কি রকম অনুভব হচ্ছে আমার। দলের সঙ্গে মাঠে নামতে পারায় নিজেকে গর্বিত মনে হয়েছে।’ ২০০৪ সাল থেকেই তৃতীয় শ্রেণীদের অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেয় কমিটি। সংখ্যাটা প্রত্যেকবারই বাড়তে থাকে। ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ভারোত্তোলক লরাল হাবার্ড। কিন্তু ৮৭ কেজিতে ওজন তুলতে ব্যর্থ হন তিনি।
ফুটবল দুনিয়ায় কুইনের নামটা মোটেই অপরিচিত নয়। তবে ২০২০-তে ইনস্টাগ্রামে তিনি নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে ঘোষণা করেন। অলিম্পিকের আসরে আরও অনেক রূপান্তরকামীদের অংশ নিতে মোটিভেট করবেন কুইন। ২০১৬-তে তিনি দেশের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। কিন্তু তখন নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে ঘোষণা করেননি ২৫ বছরের এই মিডফিল্ডার। এ বার রুপো নিশ্চিত হলেও, দেশকে সোনা জেতাতে তৈরি কুইন।
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০