টোকিও: ১০০ বছরের অপেক্ষা কি মেটাতে পারবেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)? ১৯২০ সালে প্রথম বার অলিম্পিকে (Olympics) অংশ গ্রহণ করেছিল ভারতীয় টিম। ৫ সদস্যের ভারতীয় দলে তিন জন অংশ নিয়েছিলেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে। আর দু”জন ছিলেন কুস্তিগির। ওই ১৯২০ সালের অ্যানটোয়ের্প (বেলজিয়াম) অলিম্পিক ধরলে ১০০ বছরে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে কখনও পদক পায়নি ভারত। সেই স্বপ্নপূরণের জন্য জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারা দেশ।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটেয় নীরজ নামবেন ফাইনালে। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৮৬.৫৯ মিটার ছুড়েছিলেন। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে যা ছিল সর্বোচ্চ। তারপর আর দ্বিতীয় থ্রোর দরকার পড়েনি।
নীরজ বলেছেন, ‘এটাই আমার প্রথম অলিম্পিক। ওয়ার্ম আপের সময় আমার পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু কোয়ালিফাইং রাউন্ডে কিন্তু আমি ঠিকঠাক অ্যাঙ্গলে থ্রো করতে পেরেছি। পারফেক্ট থ্রো বলা যেতে পারে।’
ভারতের অলিম্পিক ইতিহাস দেখলে কিন্তু ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে প্রথম ও শেষ পদক এসেছিল ১৯০০ সালে। সেবার প্যারিস অলিম্পিকে নর্ম্যান প্রিচার্ড ২০০ ও ২০০ মিটার হার্ডলসে রুপো পেয়েছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্ক এখনও রয়েছে। বলা হয়, প্রিচার্ড নেমেছিলেন ভারতের হয়েই। কলকাতাতে থাকতেন তিনি। আইএফএ-র সচিবও ছিলেন। যে কারণে নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসতেন। কিন্তু বেশ কিছু রেকর্ডের খাতায় লেখা আছে, প্রিচার্ড নেমেছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে। বিতর্ক যাই থাকুক না কেন, ভূমিপুত্রের কথা ধরলে এই ক্ষেত্রে ব্যাপক শূন্যতা। নীরজ সেটা পূরণ করার জন্য মুখিয়ে আছেন।
হরিয়ানার পানিপথের খান্ড্রা গ্রাম থেকে উঠে আসা নীরজের। ছেলেবেলায় মোটাসোটা ছিলেন বলে অ্যাথলেটিক্সে এসেছিলেন। জ্যাভলিনের প্রেমে পড়ে যান তখন থেকেই। এই নীরজ ছাপিয়ে যেতে পারেন অলিম্পিকে চতুর্থ হওয়া মিলখা সিং ও পিটি ঊষাকে।
নীরজ বলছেন, ‘কোয়ালিফাইং রাউন্ডে যে ভাবে পারফর্ম করেছি, ফাইনালেও সেটা করে দেখাতে চাই।’ নীরজ তা করতে পারেন, এমনই বিশ্বাস অ্যাথলেটিক্সমহলেরও। এই মরসুমের কথাই যদি ধরা হয়, ৮৮.০৯ মিটার ছুড়েছেন তিনি। ফাইনালে তিনি যে নিজেকে ছাপিয়ে যেতে চাইবেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০