টোকিওঃ অলিম্পিক এমন একটা মঞ্চ, যা বিশ্বকেে এক নতুন ট্রেন্ডের জন্ম দেয়। খেলাধূলার একটা অন্য দিগন্তে পৌঁছে দেওয়া সেরা রানওয়ে এই অলিম্পিক। অলিম্পিক শেখায়। অলিম্পিক দেখায়। শুধু খেলাকে নয়। জীবনবোধকেও যেন এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় এই অলিম্পিক। তেমনি এই টোকিও অলিম্পিক। যেখানে এবার পদক পেলেন এমন দুজন। যাঁদের একজন রূপান্তরকামী। একজন সমকামী। অলিম্পিকে এক নতুন দিগন্তের দরজাটা খুলে গেল।
কুইন। কানাডা মহিলা ফুটবলের একটা নাম। মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন।২০১৪ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন তিনি। আর এবার অলিম্পিকে তিনি নেমেছেন একজন রূপান্তরকামী হিসেবে। গত অলিম্পিকেও খেলেছিলেন। কানাডা সেবার জিতেছিল ব্রোঞ্জ। তখন নিজের লিঙ্গ পরিবর্বতন করেননি নারী কুইন।আর এবার ফাইনালে ওঠে কানাডা। জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার একজন রূপান্তরকামী হিসেবে জিতলেন পদক। অলিম্পিকেও এই ঘটনা প্রথমবার। এক অন্য লড়াই শেখালো অলিম্পিক। এবার অলিম্পিকে অবশ্য আরও এক রূপান্তরকামী নিউজিল্যান্ডের লরেল হুবার অংশগ্রহণ করেছিলেন অলিম্পিকে। তবে সাফল্যের মুখ দেখেননি। পদকের মুখ দেখলেন কুইন।
কুইনের এই গল্পের মাঝেই যাঁকে নিয়ে কয়েকদিন আগে বেশ আলোচনা হয়েছে তিনি ব্রিটিশ ডাইভার টম ড্যালে। অলিম্পিকে সোনা জেতার পর তিনি নিজেকে সমকামী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন দৃপ্তকন্ঠে। তিনি গোটা বিশ্বকে বলেছিলেন একটাই উক্তি, “আমি সমকামী ও পদকজয়ী।” সমকামী বিশ্বে এক অন্য আবেদন রাখে এই মন্তব্য। সেই টম ড্যালের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
পদক জেতার পর তিনি একটা সোয়েটার বানিয়েছেন। যেখানে জাপানি ভাষায় লেখা টোকিও। আর পাশে লেখা নিজের দেশের নাম গ্রেট ব্রিটেন। সোনা জয়ের পর নিজেকেই নিজে উপহার দিয়েছেন এই সোয়েটার।
অলিম্পিকের আরও খবর দেখতে ক্লিক করুঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০