টোকিও: অলিম্পিকের মধ্যেই জাপানে (Japan) হু হু করে বাড়ছে করোনা (COVID19) আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার কারণেই গেমস শুরু হওয়ার আগে থেকেই জাপানে জরুরিকালীন অবস্থা (state of emergency) জারি ছিল। কিন্তু নতুন করে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায়, এই পরিস্থিতিতে জাপানে জরুরিকালীন অবস্থার মেয়াদ ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল। এমনটাই জানিয়েছেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা (Yoshihide Suga)।
দৈনিক প্রায় ৩ হাজার ৩০০ জন নতুন করে সংক্রামিত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আরও বেশি (৩,৮৬৫)। আজ, শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা প্রেস কনফারেন্স জানান, অলিম্পিক আয়োজক টোকিও এবং ওসাকার পশ্চিমাঞ্চলে জরুরিকালীন অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। নতুন করে জরুরিকালীন অবস্থা কার্যকর হবে ২-৩১ অগস্ট পর্যন্ত। দফায় দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে একটা চিন্তা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তবে গেমস ভিলেজেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আজ, নতুন করে ২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গেমস ভিলেজে। যাদের মধ্যে ১৮ জন জাপানের ও ৯জন বিদেশি রয়েছেন। তবে তার মধ্যে কতজন অ্যাথলিট রয়েছেন তা খোলসা করে না বলা হলেও আশঙ্কা বাড়ছে, যে বহুমাত্রায় অ্যাথলিটদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে যেতে পারে, এমনটা বলছে বিশেষজ্ঞমহল।
এই মুহূর্তে জাপানের ৬৪% হাসপাতালে গুরুতর করোনা রোগীদের রাখা হচ্ছে। জাপানে ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সুগা আশঙ্কা করছেন দেশের হাসপাতালগুলিতে ফের বেডের আকাল দেখা দিতে পারে। প্রেস কনফারেন্সে সুগা বলেন, “ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে, আমি সকলকে জানাতে চাই, যতক্ষণ না আমরা আরও বেশি টিকা দেওয়ার প্রভাব না দেখি, ততক্ষণ আমি আপনাদের সবাইকে আরও বেশি করে সচেতন থাকতে বলব এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাগুলি সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।” করোনা পরিস্থিতিতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে টোকিও অলিম্পিক হচ্ছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের তিনি টিভিতে অলিম্পিক দেখার কথাও বলেন।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নোরিহিসা তোমুরা (Norihisa Tamura) দেশের পরিস্থিতিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘অত্যন্ত ভয়ংকর’ বলে। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে মানুষ এখনও বুঝতে পারছে না আগামী দিনে দেশে কী পরিস্থিতি হতে চলেছে। এই পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে তা বলা মুসকিল। প্রত্যেকের কাছে এই সময়টা একেবারে অসহনীয় হয়ে উঠেছে।”