টোকিও: শুটিংয়ে (Shooting) চরম ব্যর্থতা কোচদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। অলিম্পিকের (Olympics) আগে ভারতীয় শুটারদের নিয়ে প্রবল প্রত্যাশা ছিল। সৌরভ চৌধুরি, মনু ভাকের, অভিষেক ভার্মা, যশস্বিনী সিং থেকে শুরু করে এলাভেনিল ভালারিভান, দিব্যাংশ সিংরা কিছুই করতে পারেননি। এঁদের মধ্যে একমাত্র সৌরভ ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ফাইনালে উঠেছিলেন। বাকিরা যোগ্যতা পর্বই টপকাতে পারেননি।
কেন এমন চরম ভরাডুবি? সর্বভারতীয় রাইফেল সংস্থার প্রেসিডেন্ট রনিন্দর সিং (Raninder Singh) বলে দিয়েছেন, ‘বেশ কিছু প্রতিভাবান শুটার রয়েছে টিমে। তা সত্ত্বেও কেন ভারত সাফল্য পেল না, তা আমাদেরও ভাবাচ্ছে। প্রস্তুতিতে খামতি ছিল, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তার দায় কোচেদের নিতেই হবে।’
২০০৪ সালে আথেন্স অলিম্পিকে রুপো পেয়েছিলেন রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। তখন থেকেই দেশে শুটিং নিয়ে আগ্রহ বাড়ে। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে আবার অভিনব বিন্দ্রা সোনা জিতেছিলেন। তারপর জোয়ার তৈরি হয়ে ভারতে। সেই ধারা মেনেই ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে শুটিং থেকে জোড়া পদক নিয়ে এসেছিলেন ভারতীয় শুটাররা। বিজয় কুমার ও গগন নারাংয়ের হাত ধরে। তার পর থেকে হতাশাই বাড়ছে। রিও অলিম্পিকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল ভারতকে। টোকিও গেমসে এখনও পর্যন্ত কোনও ছাপ রাখতে পারেননি ভারতীয় শুটাররা।
ঘটনা হল, অলিম্পিকের আগে ভারতের সৌরভ, মনুরা দারুণ ছন্দে ছিলেন। আন্তর্জাতিক স্তরে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক সাফল্যও পেয়েছেন। অভিষেক, যশস্বিনীরাও নিজেদের ইভেন্টে বেশ সফল মুখ। তা হলে সমস্যা কোথায় হল? রনিন্দরের কথায়, ‘ আপাতত আমরা অলিম্পিকের বাকি ইভেন্টগুলো নিয়েই ভাবছি। তারপর ময়নাতদন্ত করব।’
ভারতের ব্যর্থতার পর কিন্তু প্রাক্তন শুটাররা সোচ্চার হয়েছেন পারফরম্যান্স নিয়ে। অনেকেই আঙুল তুলছেন কোচের দিকে। তাঁদেরও অভিযোগের তির কোচেদের দিকে।
আরও পড়ুন: TOKYO OLYMPICS 2020 : অলিম্পিক অভিযান শেষ ভারতীয় টেবল টেনিসের