গ্রেট ব্রিটেনের (Great Britain) সব থেকে কম বয়সি স্কেটবোর্ডার (Skateboarder) হিসেবে টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) নামতে চলেছেন স্কাই ব্রাউন (Sky Brown)। টোকিও অলিম্পিকের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ ঘটল স্কেটবোর্ডিং (Skateboarding) ইভেন্টটির। ১৩ বছর বয়সি স্কাই টোকিও অলিম্পিকে গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তবে এই স্কাই এক বছর আগে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে, সেই স্কাই এখন গ্রেটেস্ট শো অন দ্যা আর্থে।
জাপানে জন্ম স্কাইয়ের। বেড়ে ওঠা আমেরিকায়। টোকিওর আরিয়াক আর্বান স্পোর্টস পার্কে, স্কেটবোর্ডিংয়ে অংশগ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই স্কাই ব্রিটেনের সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিয়ানের শিরোপা পাবে। অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সময় স্কাইয়ের বয়স হবে মাত্র ১৩ বছর ২৩ দিন। তবে স্কাইয়ের এই অলিম্পিকে অংশই নেওয়া হত না। কথায় বলে না, ভাগ্য সাথ দিলে সব হয়। স্কাইয়ের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। ২০২০ সালের মে মাসে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্কাই। স্কেটিং অনুশীলনের সময় ১৫ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে যায় সে। সেই দুর্ঘটনায় স্কাইয়ের মাথায় খুলিতে চোট লাগে। শুধু তাই নয়, তার কব্জি ও হাতও ভেঙে যায়। বলতে গেলে মৃত্যুর মুখ থেকে সে ফিরে আসে। তার পরও স্কেটিংয়ের প্রতি তার টান কমেনি।
১৩ বছরের স্কাইয়ের স্কেটিংয়ের রেকর্ডের দিকে তাকালে নজরে পড়ে, আট বছর বয়লে ভ্যান্স ইউএস ওপেনে সবথেকে কম বয়সী প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছিল। ১১ বছর বয়সে প্রথম মহিলা স্কেটার হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক “ফ্রন্টসাইড ৫৪০” এ ল্যান্ডিং করেছিল। ২০১৯ সালে সাও পাওলোতে বিশ্ব স্কেটবোর্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্কাই ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে। এবার তার সামনে অলিম্পিকে পদকের হাতছানি। সোনার লক্ষ্য নিয়েই নামতে চায় স্কাই।
টোকিওয় সোনা জিততে পারলে সেটা দারুণ ব্যাপার হবে, এমনটাই বক্তব্য স্কাইয়ের। পাশাপাশি সে অন্যান্য মেয়েদের অনুপ্রাণিত করতেও চায়। তাঁর কথায়, “আমি সমস্ত বাধা বিপত্তি ঠেলে এগিয়ে যেতে চাই। স্কেটবোর্ডিংয়ে আমি লিঙ্গবৈষম্য কমাতে চাই। আমি আশা করি কয়েকজন মেয়েকে আমি অনুপ্রাণিতও করতে পারব।”
স্কাই শুধু স্কেটবোর্ডিংয়েই দক্ষ নয়। পাশাপাশি এই বয়সেই সে একটি বই প্রকাশিত করেছে (স্কাই দ্যা লিমিট) এবং একটি পপ গানও “গার্ল” বের করেছে।
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০