HOCKEY : ধাবার সাফাইকর্মী থেকে অলিম্পিক পদক

TV9 Bangla Digital | Edited By: raktim ghosh

Aug 05, 2021 | 9:47 PM

সকালে অনুশীলন সেরে যোগ দিতেন কাজে। এইভাবে প্রায় ৪-৫ বছর ধাবাতে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন দুজন। অবশেষে গুরগাঁওয়ের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জায়গা পান সুমিত। ফিরে তাকাতে হয়নি।

HOCKEY : ধাবার সাফাইকর্মী থেকে অলিম্পিক পদক
সুমিতের গল্প

Follow Us

টোকিওঃ হরিয়ানার সোনিপত জেলার কুরাদ গ্রাম। অচেনা অজানা গ্রাম থেকে উঠে এসে অলিম্পিকের মঞ্চে ভারতের জার্সি পড়ে নামা। এ রূপকথার গল্পের থেকে কোনও অংশে কম নয়। তবে রূপকথার কিছু গল্প হয়, যেখানে এক সফল উত্তরণের পেছনে কঠিন দিনগুলোর কথাগুলো অনুচ্চারিতই থেকে যায় বইয়ের পাতায়। সেই এক অনুচ্চারিত কঠিন লড়াইয়ের গল্প শোনাবো আপনাদের। ব্রোঞ্জ জয়ী হকি দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের জীবনযুদ্ধের গল্প।সুমিতের গল্প।

পারিবারিক আর্থিক অনটন। দিন আনি দিই খাই দারিদ্র্য। বাধ্য হয়ে যে বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে দুইভাই যোগ দিলেন মুরথালের দুটি ধাবায়। সাফাইকর্মী হিসেবে। একটি রতন ধাবা। অপরটি মদন ধাবা। দুই ধাবাতেই কাজ করতেন দুই ভাই সুমিত ও অমিত। দুজনেরই ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল হকি খেলা। খেলছিলেনও। সকালে অনুশীলন সেরে যোগ দিতেন কাজে। এইভাবে প্রায় ৪-৫ বছর ধাবাতে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন দুজন। অবশেষে গুরগাঁওয়ের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জায়গা পান সুমিত। ফিরে তাকাতে হয়নি। অনুশীলন থেকে খাবর-সবই জুটছিল সুমিতের। স্বপ্ন তৈরি হচ্ছেল এক বড় হকি খেলোয়াড় হওয়ার। আর দাদা অমিত ছেড়েই দিলেন হকি। এখন পারিবারিকভাবে স্বচ্ছল সুমিতরা। আর বৃহস্পতিবার ব্রোঞ্জ জয়ের পর এখন হরিয়ানার হিরো ভারতীয় দলের সদস্য সুমিত। দাদা এখন ব্যস্ত নেট পরীক্ষার জন্য। গবেষণা করতে চান।

ইতিহাস গড়েছেন। ভাইকে নিয়ে তাই গর্বের শেষ নেই। তবে এই গর্বের দিনের দাদা অমিতের খারাপ লাগা একটাই, “ভাইয়ের এই কীর্তি দেখে যেতে পারলেন না মা। গতবছরই মা প্রয়াত হয়েছেন।”

অলিম্পিকের আরও খবর দেখতে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০

Next Article