50 কোটি WhatsApp ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর লিক! চড়া দামে বিক্রি, তালিকায় আপনারও?

WhatsApp Data Breach: প্রায় 500 মিলিয়ন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর সম্বলিত ডেটাবেস একটি হ্যাকিং সম্প্রদায়ের কাছে বিক্রি করেছে অজ্ঞান এক বিক্রেতা। ওই নম্বরগুলি ভারত-সহ বিশ্বের মোট 84টি ভিন্ন দেশের সক্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের।

50 কোটি WhatsApp ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর লিক! চড়া দামে বিক্রি, তালিকায় আপনারও?
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2022 | 3:16 PM

WhatsApp Data Breach: WhatsApp এই মুহূর্তে বিশ্বের জনপ্রিয়তম ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের কার্যকারিতা এখন আর কেবলই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তার চেয়ে অনেক বেশি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এখন ভয়েস ও ভিডিয়ো কলিং, ছোট থেকে বড় ফাইল পাঠানো, এমনকি টাকাও পাঠানো যায়। তাই, মেটা-র ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা কতটা জরুরি, তা প্রায় সকলেই বোঝেন। বিশেষ করে যে হোয়াটসঅ্যাপের এখন বিশ্বব্যাপী 2 বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী আছে। কিন্তু তারপরেও WhatsApp ব্যবহারকারীদের সামনে তথ্য কি আদৌ সুরক্ষিত? সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় 500 মিলিয়ন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর সম্বলিত ডেটাবেস একটি হ্যাকিং সম্প্রদায়ের কাছে বিক্রি করেছে অজ্ঞান এক বিক্রেতা। সাইবারনিউজ়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বিক্রেতা দাবি করেছে ডেটাবেসটিতে 487 মিলিয়ন ফোন নম্বর ছিল। জানা গিয়েছে, ওই নম্বরগুলি ভারত-সহ বিশ্বের মোট 84টি ভিন্ন দেশের সক্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের।

কোন কোন দেশের WhatsApp ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকি

রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই ডেটাবেস সারা বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থাংশ WhatsApp ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করেছে। ওই বিক্রেতা একটি পোস্টারও শেয়ার করেছেন। সেই পোস্টারেই রয়েছে বিভিন্ন দেশের ফোন নম্বর— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (32 মিলিয়ন ব্যবহারকারী), ব্রিটেন (11 মিলিয়ন ব্যবহারকারী), রাশিয়া (10 মিলিয়ন ব্যবহারকারী), ইতালি (35 মিলিয়ন ব্যবহারকারী), সৌদি আরব (29 মিলিয়ন ব্যবহারকারী) এবং ভারত (6 মিলিয়ন ব্যবহারকারী)। এই প্রতিটা দেশেরই যে সব হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফন নম্বর ফাঁস হয়েছে, তাঁদের সামনে বড় ঝুঁকি।

কীভাবে এই সব তথ্যের নাগাল পেল হ্যাকাররা

বিশ্বের এই বিপুল সংখ্যক সক্রিয় WhatsApp ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর কীভাবে ফাঁস হয়েছে, তা ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বিক্রেতা স্ক্র্যাপিং নামক একটি প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়ে সমগ্র ডেটাবেস প্রকাশ্যে এনেছেন। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয় এবং হ্যাকিং বা সাইবার অ্যাটাকের সঙ্গে কোনও ভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয় এটি।

অর্থাৎ, WhatsApp ব্যবহারকারীদের এই তথ্য হাতানোর কোনও সাইবার আক্রমণ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন ওয়েব পেজ থেকেই এই সব তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত ওই বিক্রেতা নিশ্চিত বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন যে, এই নম্বরগুলি হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সমগ্র ডেটাবেস অনলাইনে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছে।

WhatsApp ব্যবহারকারীদের জন্য এই ডেটাবেস ঝুঁকির কারণ কেন

স্প্যামিং, ফিশিং, আইডেন্টিটি থেফট এবং অন্যান্য সাইবারক্রিমিনাল কার্যকলাপের জন্য এই ডেটাবেসের ব্যবহার করতে পারে হ্যাকাররা। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, WhatsApp ব্যবহারকারীদের কাছে এমন কোনও অপশন নেই যে, তাঁদের ফোন নম্বরও ডেটাবেসে রয়েছে কি না, তা যাচাই করার।

WhatsApp-এর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সুরক্ষা সেটিং। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্টেটাস ও প্রোফাইল পিকচার লুকিয়ে রাখার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই ফিচারগুলি ব্যবহার করলে হ্যাকারের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত হতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা।