Airbags: পয়লা অক্টোবরের পরে নির্মিত সব গাড়িতে রাখতে হবে ৬টি এয়ারব্যাগ, ঘোষণা নীতিন গড়করির
Airbags: গাড়ির সেফটি ফিচার হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই এয়ারব্যাগ। দুর্ঘটনা ঘটলে গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীদের সুরক্ষায় কাজে লাগে এই এয়ারব্যাগ।
ছোট গাড়ি (Small Car) হোক কিংবা বড় (Big Car)– এবার থেকে সব গাড়িতেই থাকতে হবে ছয়টি এয়ারব্যাগ (Airbags)। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি সম্প্রতি রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন। আগামী পয়লা অক্টোবরের পর যেসব গাড়ি তৈরি হবে তার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে এই নতুন নিয়ম। পরিবহণ মন্ত্রী বুধবার ৩০ মার্চ রাজ্যসভায় নিজের বক্তৃতায় একথাও বলেছেন যে, ২০২০ সালে অন্তত ১৩,০২২ জন মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত যদি গাড়িগুলোতে কার্যকরী এয়ারব্যাগ থাকত। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে যে গাড়িতে ৮ জন যাত্রী থাকবেন সেখানে ছয়টি এয়ারব্যাগ রাখতে হবে এই বয়ানে একটি খসড়া তৈরি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যেসব গাড়ি এম১ ক্যাটেগরির মধ্যে পড়ে, অর্থাৎ যেসব গাড়িতে ৮ জন যাত্রী বসতে পারবেন এবং গাড়ির ওজন ৩.৫ টনের কম হবে, এই ধরনের গাড়ি পয়লা অক্টোবরের পর নির্মিত হলে সেখানে সামনের সিটে দুটো এয়ারব্যাগ এবং দুটো কার্টেন এয়ারব্যাগ থাকা আবশ্যিক। এই ‘এম১’ গাড়ি বলতে সেই ধরনের গাড়িকে বোঝায় যা যাত্রীবাহী এবং ড্রাইভারের সিট সমেত যে গাড়িতে ৮টির বেশি সিট থাকবে না।
এই ‘এম১’ ক্যাটেগরিতে প্রায় সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়িই রয়েছে। বিভিন্ন এন্ট্রি লেভেল হ্যাচব্যাক যেমন সুজুকি অল্টো বা হুন্ডাই স্যান্ট্রো, বিভিন্ন মাল্টি-ইউটিলিটি ভেহিকেল যেমন- টয়োটা ইনোভা অথবা কিয়া কার্নিভাল— এই সমস্ত গাড়িই রয়েছে ‘এম১’ ক্যাটেগরিতে। বিশেষ করে এইসব গাড়ি যাত্রীবাহী গাড়ি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। তবে অনেকসময় ব্যবসার কাজেও ব্যবহার হয় এই গাড়িগুলি। তবে এই ছয়টি এয়ারব্যাগ আবশ্যিক হওয়ার খবরে গাড়ি নির্মাতারা খানিকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাঁদের মতে এই এয়ারব্যাগের কারণে গাড়িতে বেশি মাত্রায় ইনপুট কস্ট যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে চিপের ঘাটতি। ফলে এয়ারব্যাগ আবশ্যিক হলে গাড়ির দাম বাড়বে। আর এর দরুণ অটোমোবাইল সেক্টর পুনরুদ্ধার হওয়া থেকে খানিকটা পিছিয়ে যাবে।
এন্ট্রি লেভেল গাড়িতে ফ্রন্টাল অর্থাৎ সামনের সিটের এয়ারব্যাগের খরচ ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। আর সাইডের অংশে এবং কার্টেন এয়ারব্যাগের খরচ এর প্রায় দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। ভারতের গাড়ির বাজারে গাড়ি নির্মাতারা সাধারণত টপ-এন্ড মডেলে ছয়টি এয়ারব্যাগের ফিচার প্রদান করে থাকে। মূলত যেসব গাড়ির দাম ১০ লক্ষের বেশি হয় সেইসব গাড়িতেই ছয়টি এয়ারব্যাগের পরিষেবা যুক্ত থাকে। সমীক্ষা বলছে, গাড়ির বিভিন্ন সেফটি ফিচার যেমন- টুইন এয়ারব্যাগ, অ্যান্টি ব্রেকিং সিস্টেম, রেয়ার ওয়াইপার— এইসব যুক্ত হলে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়।