EV Fire: ধোপে টিকল না গরমের যুক্তি, এবার দিল্লির কনকনে ঠান্ডায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মুখে E-Scooter
Electric Scooter Fire In Delhi: দিল্লির কনকনে ঠান্ডায় একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সামালখা-তে। সৌভাগ্যক্রমে ওই ই-স্কুটার মালিক আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছিলেন, যে কারণে বরাতজোরে বেঁচে গেয়েছেন তিনি।
Electric Scooter Fire: বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রিক ভেহিকলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ভারতেও এখন নেই-নেই করে ইলেকট্রিক স্কুটার বা বাইক বা চারচাকা গাড়ি কেনার লোকও কম নয়। সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরার ঘটনার অন্ত নেই। বছর শুরুতে গরমকালে যখন একের পর এক ই-স্কুটারে আগুন ধরছিল, তখন সংস্থাগুলি দেশের তীব্র দাবদাহের কারণ দেখিয়েছিল। কিন্তু একথা তারাও অস্বীকার করেনি যে, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দোষও কিছু কম নয়। এবার দিল্লির কনকনে ঠান্ডায় একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সামালখা-তে। সৌভাগ্যক্রমে ওই ই-স্কুটার মালিক আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছিলেন, যে কারণে বরাতজোরে বেঁচে গেয়েছেন তিনি।
Another electric scooter that caught fire – this time near Samlka, South West Delhi. The owner managed to douse the fire, and thankfully, there seemed to be no injuries. pic.twitter.com/HbTSqrwUlj
— Siddharth Zarabi (@szarabi) December 13, 2022
সিদ্ধার্থ জ়ারাবি নামের এক ভেরিফায়েড টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর ই-স্কুটারে আগুন ধরার এই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। তিনি বিজ়নেস টুডে টেলিভিশনের ম্যানেজিং এডিটর। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ইলেকট্রিক স্কুটারটি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সেখানে আরও দেখা গিয়েছে, স্কুটার মালিক তড়িঘড়ি আগুন নেভাতে সক্ষম হন এবং যে কারণে তিনি নিজেকেও নিরাপদে রাখতে পারেন।
গরমকালের পর এবার যখন শীতকালেও ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরছে, তখন সেগুলির ব্যাটারি নিয়ে সত্যিই বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ ইলেকট্রিক স্কুটারেরই পার্টস আসে চিন থেকে। এখন সে যন্ত্রাংশ যেখান থেকেই আসুক না কেন, এদেশের ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারিগুলি যে, গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত-বসন্ত মিলিয়ে সবরকম পরিবেশের আদর্শ নয়, তাই প্রমাণ করছে। কঠোর আবহাওয়ার পাশাপাশিও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ব্যাটারিগুলির পর্যাপ্ত গুণমান এবং নিরাপত্তার দিকগুলি খতিয়ে দেখা হয় কি না।
এর আগে যখন ঘনঘন ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরার ঘটনায় দেশের সমস্ত বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে কারণ দর্শাতে নোটিস ধরিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি লোকসভায় জানিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট ইভি নির্মাতাদের নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ইভিতে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষজ্ঞের কমিটিও তৈরি করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক (MoRTH) দ্বারা সংশ্লিষ্ট সিইও এবং এমডিদের দেওয়া নোটিসগুলির উত্তরের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করে এই বিশেষজ্ঞের কমিটি।
কেন্দ্রের তরফে ইভি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যাটারির উৎপাদনগত কোনও ত্রুটির কারণে আগুন ধরলে জরিমানা দিতে হবে। অন্য কোনও কারণ যদি থাকে, ইভি নির্মাতারা তার উত্তর দিতে না পারলেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কিন্তু এত সবের পরেও যখন গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত মিলিয়ে প্রায় সব মরসুমেই ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগছে, তখন তা যেন গ্রাহককুলের কাছে সত্যিই ভয়ের বিষয় হিসেবে হাজির হচ্ছে।