Kinetic Luna মোপেড গাড়িটির কথা নিশ্চয়ই মনে আছে! থাকারই তো কথা। তার কথা এক সময়ের জনপ্রিয় এই মোপেডের দামও খুব কম ছিল, সহজে বহনযোগ্য হওয়ার ফলেও তা কচিকাচা থেকে বয়স্ক মানুষের অত্যন্ত পছন্দের যান হিসেবে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছিল। সেই জনপ্রিয় Luna মোপেডকেই এবার নবরূপে ইলেকট্রিক ভার্সন হিসেবে নিয়ে আসতে চলেছে Kinetic Group। সংস্থার আর একটি উইং Kinetic ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তরফে সম্প্রতি রেগুলেটরি ফাইলিং করা থেকেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। জানা গিয়েছে, কাইনেটিকের প্রথম ইলেকট্রিক মোপেডের নাম হতে চলেছে E-Luna।
ইলেকট্রিক দুই চাকা ও চার চাকা গাড়ি প্রস্তুত ও তা বিক্রি করার জন্য Kinetic-এর একটি আলাদা সংস্থাও রয়েছে। গত সোমবার সংস্থাটি জানিয়েছে সেই কাইনেটিক গ্রিন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার সলিউশনসের তরফ থেকে Kinetic E-Luna ইলেকট্রিক মোপেডটি লঞ্চ করা হবে। Kinetic Engineering Ltd (KEL) তাদের আসন্ন ই-লুনার বৈদ্যুতিক অবতারের চ্যাসিস-সহ অন্যান্য জরুরি উপাদানগুলির উৎপাদন ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে।
E-Luna ইলেকট্রিক মোপেডটির জন্য কোম্পানি ইতিমধ্যেই চ্যাসিস, মূল স্ট্যান্ড, সাইড স্ট্যান্ড এবং সুইং আর্ম-সহ জরুরি উপাদান শুরু করে দিয়েছে। তার জন্য কাইনেটিক একটি ডেডিকেটেড প্রোডাকশন লাইন তৈরি করেছে। সেখানেই সংস্থা প্রতি মাসে 5,000 সেট ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কত দাম হতে পারে Kinetic E-Luna মোপেডের? এ বিষয়ে
এ বিষয়ে কাইনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিঙ্কা ফিরোদিয়া বলছেন, “আমরা আশা করছি, এই ব্যবসা আগামী 2-3 বছরে বার্ষিক 30 কোটি টাকা যোগ করবে। কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে ই-লুনার বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এটি KEL-কে EV সেগমেন্টে তার উপস্থিতি বাড়াতেও সাহায্য করবে।”
একটা সময় ছিল, যখন কাইনেটিক লুনার দেশের প্রথম সারির মোপেড ছিল, সে সময় প্রাত্যহিক ভিত্তিতে 2000টি করে ইউনিট বিক্রি হত। অজিঙ্কা ফিরোদিয়া যোগ করলেন, “আমি নিশ্চিত যে, নতুন অবতারেও ইলেকট্রিক মোপেডটি এই পরিমাণেই বিক্রি হবে।” তিনি আরও যোগ করে বললেন, “KEL বৈদ্যুতিক দুই এবং তিন চাকার গাড়ির জন্য সমস্ত প্রধান যান্ত্রিক সাবঅ্যাসেম্বলিগুলির ক্ষেত্রে একটি ওয়ান স্টপ শপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যেখানে গত 12 মাসে ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।”
KEL জানাচ্ছে, ঠিক 50 বছর আগে তারা তাদের প্রথম Luna মোপেডটি লঞ্চ করেছিল, তখন যার দাম ছিল 2,000 টাকা। কাইনেটিক লুনা-র সাফল্য নিয়ে সংস্থার আরও বক্তব্য, “পরিবহনের ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে দক্ষ, সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজানক একটা মোপেড।” তারপর একটা সময় এমনও আসে, যখন প্রতিদিন লুনা মোপেডটির 2,000 করে মডেল বিক্রয় করত কাইনেটিক। সংস্থার দাবি, সেই সময় এই সেগমেন্টে মোপেডটি একপ্রকার রাজত্ব চালাচ্ছিল, যার মার্কেট শেয়ার ছিল 95%।
KEL-এর তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সমস্ত অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হলেই অহমেদনগরের কারখানায় ইলেকট্রিক মোপেডগুলিতে পেইন্ট স্কিমও দেওয়া হবে। সংস্থাটি প্ল্যান্টের মধ্যে একটি এক্সক্লুসিভ দোকানে 30টিরও বেশি ওয়েল্ডিং মেশিন সহযোগে একটি নতুন লাইন ইনস্টল করেছে এবং এর পেইন্ট শপ, প্রেস ও ফ্যাব্রিকেশনের জন্য শপগুলিকে আপগ্রেড করতে 3 কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে।