কয়েকদিন আগেই টুইট করে ওলা সংস্থার চেয়ারম্যান এবং গ্রুপ সিইও ভাবিশ আগরওয়াল জানিয়েছিলেন, তামিলনাড়ুতে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির কারখানার প্রথম ফেজ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এবার টুইটে প্রায় এক মিনিটের একটা ভিডিয়ো শেয়ার করে ভাবিশ ওলার ই-স্কুটার কেমন দেখতে হবে, সেখানে কী কী অত্যাধুনিক ইউজার ফ্রেন্ডলি ফিচার থাকবে, সেইসব প্রকাশ করেছেন। তোড়জোড় থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে লঞ্চ হবে নেদারল্যান্ডের সংস্থা ওলার তৈরি ইলেকট্রিক স্কুটার। শেষ পর্যায়ের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য এখন ব্যস্ত রয়েছেন সংস্থার সকলেই।
টুইটে ভাবিশ যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, সেখানে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারে সওয়ার হতে দেখা গিয়েছে তাঁকেই। এই ভিডিয়োতে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, ওলার ই-স্কুটার এখন মার্কেট লঞ্চের জন্য প্রায় তৈরি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারের সিটের তলায় দুটো হেলমেট রাখার বন্দোবস্তও রয়েছে। সমসাময়িক অন্যান্য অনেক ইলেকট্রিক স্কুটার যেমন- Ather 450X, TVS iQube, Bajaj Chetak EV— এদেরকে টক্কর দেবে ওলার এই ই-স্কুটার।
দেখুন ভাবিশ আগরওয়ালের টুইট
Took this beauty for a spin! Goes 0-60 faster than you can read this tweet! Ready or not, a revolution is coming! #JoinTheRevolution @Olaelectric https://t.co/ZryubLLo6X pic.twitter.com/wPsch79Djf
— Bhavish Aggarwal (@bhash) July 2, 2021
টুইটের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর রাস্তাতে ওলার ই-স্কুটার নিয়ে সফরে বেরিয়েছেন ভাবিশ। কালো রঙের স্কুটির ডিজাইন একদম ঝকঝকে। সিটের নীচে দুটো হাফ-ফেস অর্থাৎ অর্ধেক মুখ ঢাকা পড়বে এমন ডিজাইনের হেলমেট রাখার জায়গা রয়েছে। ওলার এই ই-স্কুটারের ইলেকট্রিক মোটর এবং ব্যাটারির আকার আয়তনও যথেষ্ট উপযুক্ত। Etergo Appscooter ভিত্তিক ওলার এই ই-স্কুটারের রেঞ্জ ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। অ্যাকসিলারেশন ০ থেকে ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এই ই-স্কুটারে রয়েছে রিমুভেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। এছাড়াও রয়েছে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, ক্লাউট কানেকটিভিটি, অ্যালয় হুইলস, টেলিস্কোপিং সাসপেনশন আপ ফ্রন্ট— এইসব ফিচার।
মাত্র চারমাসে বিশ্বের বৃহত্তম দু-চাকার যান নির্মাণের কারখানা তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ুতে। ওলার ‘ফিউচার ফ্যাক্টরি’- র জন্য ২৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডের এই সংস্থা। প্রাথমিক ভাবে ২ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে এই কারখানায়। পরবর্তীকালে পুরোপুরি কারখানা চালু হলে কমপক্ষে ১০ হাজার কর্মী থাকবেন ওলার ‘ফিউচার ফ্যাক্টরি’- তে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্তত ২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২০ লক্ষ ইলেকট্রিক স্কুটার নির্মাণের ক্ষমতা রয়েছে তামিলনাড়ুর এই কারখানার।
আরও পড়ুন- নয়া রূপে ফের ভারতে আসছে Suzuki Hayabusa! বুকিং কবে থেকে শুরু, তা জেনে নিন