অনলাইন গেমিংয়ের জন্য দেশের প্রথম সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের সেট আপ করা হবে শিলংয়ে। চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই সেই এক্সিলেন্স সেন্টারটি সেটআপ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। অনলাইন গেমিংয়ের এই সেন্টার অফ এক্সিলেন্স, স্টার্টআপ এবং উদ্যোক্তাদের এ দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এ বিষয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন যে, দেশের স্টার্ট আপ এবং উদ্যোক্তাদের একটা বড় অংশ যেন শিলং, কোহিমা-সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে।”
কেন্দ্রী মন্ত্রী আরও যোগ করে বলছেন, “কোভিডের পরে ডিজিটাল দক্ষতার গুরুত্ব এখন ভারতে অপরিসীম। কারণ, বিশ্বব্যাপী পণ্য, পরিষেবা এবং ডিভাইসের ডিজিটালাইজেশনের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।” ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক (MeitY) সম্প্রতি জনসাধারণের পরামর্শের জন্য অনলাইন গেমিং সম্পর্কিত আইটি নিয়ম 2021-এর খসড়া সংশোধনী নিয়ে এসেছে। পাশাপাশি জনসাধারণের পরামর্শের জন্য অনলাইন গেমিং সংক্রান্ত আইটি ইন্টারমিডিয়ারি রুলস 2021-এর খসড়া সংশোধনীও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের এই বিশেষ মন্ত্রকটি।
খসড়াটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে, তা যেন ভারতীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। দেশে যে কোনও গেম যাতে তার প্লেয়ারদের সম্ভাব্য ঝুঁকির আভাস দিতে পারে এবং সুরক্ষিত রাখতে পারে, সেই সব দিকগুলি মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে ওই খসড়া। খসড়াটি একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছে যা ভবিষ্যতে, অনলাইন গেমিংয়ের কন্টেন্টকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়াও এই খসড়া আর একটি বিষয় নিশ্চিত করবে, গেমগুলিতে যেন কোনও হিংসাত্মক বা যৌনতামূলক কন্টেন্ট না থাকে।
ভারতে এই মুহূর্তে 18 বছরের কম বয়সীরাও গেম খেলতে পারেন। তবে তার ফ্রেমওয়ার্ক এমনই করা, তা যেন ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত। এখন এই কাঠামোটি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও নিরাপদ এবং অনলাইন গেমিংয়ের চারপাশে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেমকে প্রসারিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের গেমিং ইকোসিস্টেমে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, যেহেতু দেশের প্রায় 40-45% গেমার মহিলা, তাই গেমিং ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।