জেনারেশন ওয়াইয়ের কাছে এখন জনপ্রিয় পেশা ‘ইউটিউবার’ হওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার এই মাধ্যমে নিজেদের চ্যানেল খুলে, কনটেন্ট তৈরি করে অনেকেই রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন। শুধু আর্থিক সংস্থা নয়, ইউটিউব সেইসব মানুষের জীবন আমূল বদলে দিয়েছে। লাখ লাখ ফলোয়ার এই ইউটিউবারদের। জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকার পাশাপাশি পারফর্মিং আর্টিস্ট হিসেবেও বিভিন্ন ইভেন্ট বা শো-তে এঁদের চাহিদা সবসময়ই বেশি।
কিন্তু সদ্যই ইউটিউবারদের জন্য গুগল যে বার্তা দিয়েছে তা মোটেই সুখবর নয়। বরং আমেরিকার বাইরের ইউটিউবাররা বেশ চিন্তায় পড়েছেন। গুগল ইমেল করে ইউটিউবের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জানিয়েছে, আমেরিকার বাইরে যেসব ইউটিউবার রয়েছেন, তাঁদের পেমেন্ট (ইউটিউব থেকে যে টাকা পান) থেকে ‘ইউএস’ ট্যাক্স কেটে নেওয়া হবে। একমাত্র মার্কিন মুলুকের ইউটিউবারদের আপাতত এই অতিরিক্ত ট্যাক্সের বোঝা নিতে হবে না।
আরও পড়ুন- বেশকিছু আইফোনে বন্ধ হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ! তালিকায় কোন কোন মডেল?
শোনা যাচ্ছে, ২০২১ সাল অর্থাৎ চলতি বছর জুন মাস থেকেই চালু হবে এই নতুন নিয়ম। ইতিমধ্যেই ইউটিউবারদের মেল মারফৎ গুগল যে বার্তা পাঠিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের AdSense- এ নিজেদের ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে। এর জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মে- র মধ্যে এই তথ্য জমা দিতে হবে। আর তা যদি না হয় তাহলে, ইউটিউবারদের মোট আয়ের ২৪ শতাংশ ট্যাক্স হিসেবে কেটে নেওয়া হবে। আমেরিকা ছাড়া, বিশ্বের বাকি সব দেশেই চালু হবে এই নিয়ম।
আমেরিকায় যাঁরা ইউটিউবের দর্শক তাঁদের থেকেও ট্যাক্স কাটবে সংস্থা। শুধু বিজ্ঞাপন নয়, ইউটিউব প্রিমিয়াম, দুপার স্টিকার, সুপার চ্যাট এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ— এসব ক্ষেত্রেও কাটা হবে ট্যাক্স। আমেরিকা ছাড়া অন্যান্য দেশের দর্শকদের থেকে একজন ইউটিউবার যে আর্থিক উপার্জন করবেন সেক্ষেত্রে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না।
যদি একজন ইউটিউবার সঠিক সময়ের মধ্যে ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য জমা দেন এবং তাঁর ক্ষেত্রে কোনও ছাড় পাওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে ওই ইউটিউবারকে নিজের মাসিক আয়ের যেটুকু অংশ তিনি আমেরিকার দর্শকদের থেকে উপার্জন করেছেন তার ১৫ শতাংশ ট্যাক্স হিসেবে দিতে হবে। আর যদি ওই ইউটিউবার কোনও treaty benefits না পান, তাহলে মাসিক আয়ের যে অংশে আমেরিকা থেকে এসেছে তার ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে।