Cyber Attack: বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলতে একের পর এক ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হয়ে চলেছে। তার একমাত্র কারণ হল সাইবাক স্ক্যামাররা বিভিন্ন উপায় খুঁজছে মানুষদের ঠকানোর। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম বিটডিফেন্ডারের একটি সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, 60,000 টিরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে অ্যাডওয়্যার পাওয়া গিয়েছে। প্রতিবেদনে আরও একটি বিষয় প্রকাশিত হয়েছে যে, এই অ্যাপগুলিতে বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার রয়েছে গত 6 মাস ধরে তা সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। অবশেষ সেই সব অ্যাপগুলিকে একটি তালিকায় রাখা হয়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন না অ্যাডওয়্যার কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাডওয়্যার কী?
এটি এমন একটি সফ্টওয়্যার, যা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কয়েক সেকেন্ডে টাকা লুট করতে পারে। অ্যাডওয়্যার শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য কাজ করে না। বরং এটি ফোনের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।
অ্যাডওয়্যার কোনও ডিভাইসে কীভাবে অ্যাটাক করে?
এই অ্যাডওয়্যারের ফাঁদে পড়া কিছু ব্যবহারকারী জানান, এই ম্যালওয়্যারের কারণে, ফোনের ব্যাটারি দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে। ফোনের কার্যক্ষমতাও কমে আসে। অর্থাৎ ফোনটি স্লো হয়ে যায়। এমনকি ফোনটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। Bitdefender-এর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, এই ম্যালওয়্যার ব্যবহারকারীদের অন্য কোনও সাইটে নিয়ে যায় এবং তারপরে ব্যাঙ্কের বিবরণ জানতে চায়। এখন পর্যন্ত এই অ্যাডওয়্যারটি দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, ব্রাজিল, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী মানুষদের ফাঁদে ফেলছে।
অ্যাডওয়্যার গুগল প্লে স্টোর-এ নেই:
আপনার মনে হতে পারে অ্যান্ড্রয়েড ফোন মানেই তো গুগল প্লে স্টোর। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। এই সব অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে নেই। কারণ সেখানের প্রায় অনেক অ্যাপই ভেরিফায়েড। ব্যবহারকারীরা APK ফাইল ডাউনলোড করার পরে, এটি নিজে থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে। এর সব থেকে খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, আপনি অন্যান্য অ্যাপের মতো এটিকে দেখতে পাবেন না। কোনও অ্যাপ আইকন নেই এই অ্যাপগুলির। ফোন থেকে এই অ্যাপগুলি আনইনস্টল করা খুব কঠিন। কারণ এই অ্যাপগুলি আনইন্সটল করার পর যদি ডিভাইসটি রিবুট হয়ে যায়, তাহলে এই অ্যাপগুলি আবার ফোনে থেকে যায়।