আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। আর তার সাহায্যেই নিমেষে তৈরি হয়ে যাচ্ছে ডিপফেক ভিডিয়ো এবং ফটো। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে AI ভয়েস ক্লোন। এটা যে এতদিন একেবারেই ছিল না, তেমনটা নয়। তবে এবার AI ভয়েস ক্লোন জালিয়াতির পরিমাণ বেড়েছে। পলকের মধ্যে আপনার চেনা কারও কন্ঠটিকে হুবহু নকল করে দিচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আর সেভাবেই ফোন করে টাকা ও ব্যক্তিগত ডেটা চাওয়া হচ্ছে। এই স্বর বদল আপনার পরিবারের যে কারও সঙ্গেই ঘটতে পারে। হতে পারে আপনার মা বা বাবা, ভাই বা বোন, বন্ধু আর প্রিয়জন যে বা যাঁরা আছেন, তাঁদের গলা নকল করেই কেউ আপনাকে ফোন করতে পারে। ফোন করে সমস্যার কথা বলতে পারে। তারপরে সেসব কন্ঠ গিয়ে টাকা চাওয়া হতে পারে। জানতে চাওয়া হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যও। এমনটাই তো হচ্ছে বাস্তবে।
এআই ভয়েস ক্লোন জালিয়াতি কী?
AI Voice Cloning এর আর এক নাম হল ভয়েস সিন্থেসিস বা ভয়েস মিমিক্রি। আসলে এটি একটি প্রযুক্তি, যা মেশিন লার্নিং বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে, যে কোনও ব্যক্তির গলার স্বরের হুবহু নকল করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন সামান্য পরিমাণে ভয়েস ডেটা। আর যার ভয়েস নকল করা হচ্ছে, তার কণ্ঠস্বর। একাধিক ফ্রি এবং পেইড টুল রয়েছে, যার দ্বারা একজনের গলার নকল খুব সহজেই অন্যজন করে ফেলছেন। একবার আপনি তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠালে, তারা অবিলম্বে সেই নম্বর বন্ধ করে দেয়।
কীভাবে এআই ভয়েস ক্লোন জালিয়াতি থেকে বাঁচবেন?
আপনি যদি এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে চান, তবে আপনার ভয়েস নোট অনলাইনে রাখা উচিত নয়। এছাড়াও, যখনই আপনি এই ধরনের কল পাবেন, তখন সেই ফোনে বিশ্বাস না করে, সেই ব্যক্তির আসল নম্বরে কল করে নিন। আর পুরো বিষয়টা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি কেউ ফোন করে আপনার বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন বলে দাবি করে টাকা চায়, তবে টাকা পাঠানোর আগে আসল ঘটনা জেনে নিন।