আজকাল বেশিরভাগ বাড়িতেই পানীয় জল পরিষ্কার করতে RO ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি বড় বড় শহরে RO-এর সাহায্যে নোনা জল পানযোগ্য করা হচ্ছে। জলের ফিল্টারগুলিতেও RO ব্যবহার করার ফলে কোম্পানিগুলি দাম অনেক বেশি রাখছে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কীভাবে RO-তে জল বিশুদ্ধ ও পানযোগ্য হয়ে উঠছে? অর্থাৎ কীভাবে কাজ করে RO? এই RO জিনিসটাই বা কী? RO-তে থাকে অনেক ফিল্টার, মেমব্রেন এবং ইউভি লাইট। অপরিষ্কার জল এই তিনটির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর পরিষ্কার হয়ে যায়। জল পরিষ্কার করার জন্য এই তিনটি কীভাবে এবং কী কী ধাপে কাজ করে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
RO-তে ফিল্টারের ব্যবহার করা হয়:
RO তে সাধারণত তিনটি ফিল্টার দেওয়া হয়। এই ফিল্টারের সাহায্যে, ধুলো এবং ময়লা জল থেকে বের করা হয়। অনেক সময় খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, ওয়াটার ফিল্টারগুলোতে যেখানে RO থাকে, সেখানে একটি সিলিন্ডার লাগানো থাকে। তার ভিতরেই রয়েছে প্রথম ফিল্টার, যা প্রতি তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হয়। এর পরে, জলকে আরও পরিষ্কার করার জন্য আরও দু’টি ফিল্টার দেওয়া হয়।
মেমব্রেন ব্যবহার করা হয়:
মেমব্রেন হল এমন একটা যন্ত্র, যার সাহায্যে জল থেকে নুনকে আলাদা করা হয়। তারপরে সেই জলকে মিষ্টি করা হয়। এবার আপনার মনে হতে পারে, যে সব এলাকায় নোনা জল নেই। সেখানে এই মেমব্রেনের কাজ কী? জল থেকে আয়রনকেও সরিয়ে দিতে মেমব্রেনের ব্যবহার করা হয়। প্রায় এক বছর RO-তে মেমব্রেন ব্যবহার করা যেতে পারে। RO এর মেমব্রেন নষ্ট হয়ে গেলে জলের স্বাদ পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে তখন তা পরিবর্তন করে নেওয়াই ভাল।
ইউভি লাইট প্রযুক্তির ব্যবহার:
RO-তে ইউভি লাইট টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। আপনি একে আল্ট্রাভায়োলেট প্রযুক্তিও বলতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি ওয়াটার পিউরিফায়ারের শেষ পর্যায়। এতে জলে উপস্থিত জীবাণু একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে জল একেবারে পানের যোগ্য হয়ে যায়।