WhatsApp-কে টক্কর দিতে টুইটারের জনক আনলেন নতুন মেসেজিং অ্যাপ Bitchat
Bitchat: টুইটারের জনক এমন এক অ্যাপ নিয়ে এলেন, যা ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে। কোনও বিক্ষোভের সময় প্রশাসন ইন্টারনেট বন্ধ করে দিলেও এই অ্যাপে কোনও সেন্সরশিপ লাগু হতে পারবে না। যেমনটা চান এর জনক।

নয়াদিল্লি: মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার (অধুনা এক্স)-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসে নিয়ে এলেন নতুন মেসেজিং অ্যাপ, নাম বিটচ্যাট। পিয়ার টু পিয়ার নতুন এই অ্যাপ মূলত ‘ডিসেন্ট্রালাইজড’ মেসেজিং অ্যাপ। মানে সহজে বললে, এই অ্যাপে কেউ নজরদারি চালাতে পারবে না। সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপে নজরদারি চালানো কঠিন হলেও প্রশাসন চাইলে অসম্ভব নয়। কিন্তু নতুন অ্যাপ তৈরিই হয়েছে এমন মডেলে, যে নজরদারি চালানো অসম্ভব। তাছাড়া ফোন নম্বর বা কোনও ইমেল আইডি ছাড়াই এই অ্যাপ চলবে। এছাড়া এই অ্যাপের আরেকটি সবচেয়ে বড় গুণ, ইন্টারনেট ছাড়াই চলতে পারবে। ব্লুটুথ নির্ভর এই মেসেজিং অ্যাপ ‘অফ-গ্রিড কমিউনিকেশন’ ব্যবহার করবে।
বিটচ্যাট-এর প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, তিনি এই অ্যাপ তৈরির সময় ব্লুটুথ মেশ নেটওয়ার্ক, রিলে অ্যান্ড স্টোর ও ফরোয়ার্ড মডেল নিয়ে কাজ করছিলেন। তাঁর দাবি, দুটি ডিভাইসের ব্লুটুথ-কে ব্যবহার করে এই অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ লেনদেন করা যাবে। লাগবে না সেলুলার ডেটা বা ওয়াই-ফাই। যিনি মেসেজ পাঠাচ্ছেন ও যিনি মেসেজটি পাচ্ছেন– এই দুজন ছাড়া কোনও সেন্ট্রাল সার্ভারে মেসেজ স্টোর থাকবে না। কিছু সময় পরে মেসেজটি নিজেই মুছে যাবে, কাউকে ম্যানুয়ালি মুছে ফেলতে হবে না। তৃতীয় কোনও পক্ষ, এমনকী প্রস্তুতকারী সংস্থার কারও কাছে মেসেজের অ্যাকসেস থাকবে না।

এক্স মাধ্যমে বিটচ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই অ্যাপে গ্ৰুপ চ্যাট বা ‘চ্যাটরুম’ তৈরি করা যাবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত রাখা যাবে। ডরসে চান, এই মেসেজিং অ্যাপে চালাচালি হওয়া মেসেজ সম্পূর্ণ ‘অফগ্রিড’ থাকবে, মানে কেউ কোনও ‘ট্রেস’ খুঁজে পাবেন না। কে পাঠিয়েছেন, কাকে পাঠিয়েছেন– পুলিশ বা প্রশাসন নাগাল পাবে না। ২০১৯-এ হংকং-এ প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় এইধরণের ব্লুটুথ নির্ভর অ্যাপ স্থানীয় স্তরে ব্যবহৃত হয়েছিল। সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। বিটচ্যাট তৈরিই হয়েছে এমনভাবে, যাতে কোনও সেন্সরশিপ তার উপর প্রযোজ্য হতে না পারে। ইন্টারনেট লাগবে না, হ্যান্ডসেটের ব্লুটুথ ব্যবহার করে চলবে দিব্যি। একমাত্র মেসেজ প্রেরক ও পাঠক – দুজনেই গোটা কথোপকথন জানবেন। আপাতত এই অ্যাপের বেটা ভার্সন লঞ্চ হয়েছে। ভবিষ্যতে ওয়াই-ফাই ডিরেক্ট ফিচার-ও এতে যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। তখন আরও দ্রুত ও বড় মেসেজ পাঠানো যাবে।

