আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে লঞ্চ হতে পারে আইফোন ১৪ সিরিজ। আর এই সিরিজের ফোনে থাকতে পারে হোল-পাঞ্চ ডিসপ্লে। সম্প্রতি একটি নতুন রিপোর্টে মাধ্যমে এমনটাই শোনা গিয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স, এই দুই ফোনে থাকতে একটি হোল-পাঞ্চ স্ক্রিন ডিজাইন। নচ ডিজাইনের পরিবর্তে এই নতুন ডিজাইনের ডিসপ্লে দেখা যেতে পারে আইফোনে নতুন সিরিজে। তবে আইফোন ১৪ সিরিজের বেস ভ্যারিয়েন্টের ডিসপ্লেতে নচ ডিজাইন দেখা যাবে বলে শোনা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে লঞ্চ হওয়া আইফোন ১৩ সিরিজের সব মডেলেই নচ ডিজাইনের ডিসপ্লে দেখা গিয়েছে। আইফোন ১৩ সিরিজে ছিল বেস ভ্যারিয়েন্ট আইফোন ১৩, আইফোন ১৩ প্রো, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এবং আইফোন ১৩ মিনি মডেল।
কোরিয়ার ওয়েবসাইট The Elec- এর রিপোর্ট বলছে আইফোন ১৪ প্রো মডেলে একটি ৬.০৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকতে পারে। আর আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স ফোনে থাকতে পারে একটি ৬.৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে। দুই ফোনের ডিসপ্লেতেই হোল-পাঞ্চ ডিজাইন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আইফোন ১৩ প্রো এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স মডেলের মতো নচ ডিজাইনের ডিসপ্লে এই দুই ফোনে দেখা যাবে না। অন্যদিকে আবার শোনা গিয়েছে, ২০২২ সালের শেষভাগে বা দ্বিতীয় ভাগে অ্যাপেল ওয়াচের তিনটি নতুন মডেলে লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আগামী বছর প্রথম ভাগে আইফোন এসই (২০২২) লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে অ্যাপেল সংস্থা একটি নতুন করে ডিজাইন করা আইপ্যাড প্রো এবং অত্যাধুনিক আইম্যাক লঞ্চ করতে পারে। এছাড়াও লঞ্চ হতে পারে নতুন ডিজাইনের ম্যাকবুক এয়ার। এর সঙ্গে আগামী বছর এয়ারপডস প্রো- এর আপগ্রেডেড ভার্সান লঞ্চেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
আইফোন ১৪ সিরিজের ফোনে যে নচ ডিজাইনের পরিবর্তে হোল-পাঞ্চ ডিজাইনের ডিসপ্লে থাকতে পারে একথা আগেও শোনা গিয়েছে। সেই সঙ্গে এও শোনা গিয়েছে, হয়তো এই আইফোন সিরিজে ‘মিনি’ মডেলও লঞ্চ হবে না। অন্য একটি সূত্রে শোনা গিয়েছে যে, আইফোন ১৪ সিরিজে রেগুলার আইফোন ১৪, আইফোন ১৪ প্রো, আইফোন ১৪ ম্যাক্স, আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স— এই চারটি মডেল থাকতে পারে।
কিন্তু কেন বন্ধ হচ্ছে আইফোন ‘মিনি’ ভ্যারিয়েন্ট?
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না আইফোনের ‘মিনি’ ভ্যারিয়েন্ট। ছোট ডিসপ্লের বদলে তুলনায় বড় স্ক্রিন সাইজের আইফোনেই মন দিয়েছে আমজনতা। তাই ‘মিনি’ ভ্যারিয়েন্টের আইফোনের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে চাইছেন অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ। সম্ভবত বিশ্বজুড়ে প্রসেসর এবং চিপসেটের ঘাটতির কারণেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে ‘মিনি’ ভ্যারিয়েন্ট বন্ধ করতে চলেছে অ্যাপেল সংস্থা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।