2030 সালের মধ্যে 6G এসে গেলে স্মার্টফোন বলে দুনিয়ায় কিছু থাকবে না, অবাক দাবি করে বসলেন Nokia-র CEO

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jun 04, 2022 | 12:44 PM

Pekka Lundmark Latest News: বিশ্বে 6G লঞ্চ হয়ে গেলে স্মার্টফোন নামক বস্তুটি অপ্রাসঙ্গিক হতে চলেছে বলে দাবি করলেন নোকিয়া সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক। তাহলে স্মার্টফোনের পরিবর্তে কী আসবে?

2030 সালের মধ্যে 6G এসে গেলে স্মার্টফোন বলে দুনিয়ায় কিছু থাকবে না, অবাক দাবি করে বসলেন Nokia-র CEO
প্রতীকী ছবি।

Follow Us

বড় দাবি করে বসলেন Nokia CEO পেক্কা লান্ডমার্ক। বললেন, 2030 সালে অপ্রাসঙ্গিক হতে চলেছে মোবাইল নামক বস্তুটি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামেই এমন দাবি করেছেন পেক্কা। সঙ্গে তিনি আরও যোগ করলেন, 2030 সালের শেষ দিকে 6G চলে আসবে এবং তখন থেকেই স্মার্টফোনগুলিকে অপ্রচলিত করে তুলবে। তাঁর কথায়, “2030 সালে 6G নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনের দরকার হবে না। আমাদের দেহেই এমন কিছু বিল্ট-ইন টেকনোলজি থাকবে, যার মাধ্যমে 6G অ্যাক্সেস করা যাবে।”

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ওই অনুষ্ঠানে এসে লান্ডমার্ক বলেছেন, “আজকে আমরা যেমনটা দেখছি, তখন স্মার্টফোনের ইন্টারফেস আর এমন থাকবে না। সেগুলির অনেক কিছুই সরাসরি আমাদের দেহে তৈরি হবে।” যদিও স্মার্টফোনের জায়গা দখল করবে কোন ডিভাইস, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি লান্ডমার্ক। তাঁর দাবি, তখন স্মার্টগ্লাসের মতো জিনিসগুলি এবং মুখে পরার ডিভাইসগুলি বেশি প্রাধান্য পাবে।

লান্ডমার্ক যা বলছেন, খুব স্বাভাবিক ভাবেই তা অনেকের কাছে বোধগম্য বা অর্থবহ হচ্ছে না। কারণ, প্র্যাক্টিক্যালি আমরা এখনও স্মার্টফোন ব্যতিরেকে একটা জীবন কল্পনা করতে শিখিনি। কিন্তু একথা তো অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, ইলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক এমনই একটি ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে যা সরাসরি আমাদের ব্রেনে বসানো যাবে। আর সেই ডিভাইসই মানুষ ও মেশিনের সঙ্গে কমিউনিকেশনে সাহায্য করবে।

তাই, লান্ডমার্ক যে খুব একটা ভুল কিছু বলেছেন এমনটা নয়। সেদিক থেকে বলা যেতে পারে 6G নেটওয়ার্কের আগমন এবং স্মার্টফোন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া নিয়ে লান্ডমার্কের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যও হতে পারে। 2021 সালেই নিউরালিঙ্কের তরফ থেকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছিল যেখানে একটি ম্যাকাক বা ছোট লেজের একটি বাঁদরকে নিজের মনের সঙ্গেই পিং পং খেলতে দেখা গিয়েছিল। নিউরালিঙ্কের সেই ভিডিয়োর পিছনে যুক্তিটাই ছিল যে প্রযুক্তিটা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে স্নায়বিক অবস্থার মানুষ দূর থেকেও ফোন বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন।

একটি ব্লগপোস্টে নিউরালিঙ্কের গবেষকরা দাবি করছেন, “আমাদের লক্ষ্য হল, একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ক্লিনিকাল BMI (ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস) সিস্টেম তৈরি করা যা বেতার এবং সম্পূর্ণরূপে ইমপ্ল্যান্টযোগ্য। পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের তাদের ডিজিটাল স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া, পাঠ্যের মাধ্যমে আরও সহজে যোগাযোগ করা, তাদের কৌতূহল অনুসরণ করাটাও আমাদের আর একটা উদ্দেশ্য। ওয়েব, ফটোগ্রাফি এবং শিল্পের মাধ্যমে তাঁরা যাতে সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারে এবং হ্যাঁ, অতি অবশ্যই যেন তাঁরা ভিডিয়ো গেমও খেলতে পারে।”

তবে যেদিকে যে আলোচনাই চলুক না কেন, 6G এখন কল্পনার দুনিয়ায়। কারণ, বিশ্বের সমস্ত প্রান্তে এখনও পর্যন্ত 5G নেটওয়ার্কই লঞ্চ করেনি। ভারত চলতি বছরেই দেশে 5G লঞ্চ করতে চলেছে।

Next Article