PWM Dimming: চোখের বারোটা বাজাচ্ছে ফোনের কম PWM ফ্রিকোয়েন্সি, বাঁচার উপায় কী?

প্রত্যেকটা স্মার্টফোনের ব্রাইটনেসে থাকে PWM Dimming নামক একটি বিষয়। যার মাত্রা কম বা বেশির উপরে নির্ভর করছে, তা আপনার চোখের জন্য কতটা আরামদায়ক। PWM Dimming কী, তার তাৎপর্যই বা কী, কোন কোন ফোনে এর মাত্রা কম, বেশি, সেই সব তথ্য জেনে নিন।

PWM Dimming: চোখের বারোটা বাজাচ্ছে ফোনের কম PWM ফ্রিকোয়েন্সি, বাঁচার উপায় কী?
আপনার ফোনের PWM কম নাকি বেশি?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2023 | 1:21 PM

ফোনের PWM Dimming শব্দবন্ধটার সঙ্গে কি আপনি পরিচিত? বিষয়টা কিন্তু নতুন কিছু নয়। তবে হেলাফেলারও নয়। যাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, আজকের দিনে PWM Dimming তাদের ফোনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিছু ফোনে PWM এর মাত্রা অনেক বেশি থাকে, কিছু ফোনে আবার অনেকটাই কম থাকে। এই প্রযুক্তি আসলে স্ক্রিন ফ্লিকার সংবেদনশীলতার উদ্বেগের সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কিছু ফোনে এখন উচ্চতর PWM ফ্রিকোয়েন্সি অন্তর্ভুক্ত করা হয় চোখের ক্লান্তি দূর করতে এবং ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি বাড়াতে ডিসি ডিমিংও ব্যবহার করা হয়। একটা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে PWM Dimming এর তাৎপর্য কী, সেই বিষয়টাই জেনে নেওয়া যাক।

ফোনের PWM Dimming কী

এখানে PWM এর অর্থ হল পাল্‌স উইধ মডুলেশন। ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ফোনের ডিসপ্লেতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে স্ক্রিনের পিক্সেলগুলিকে দ্রুত চালু এবং বন্ধ করে তার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন উজ্জ্বলতার স্তরের একটা ইলিউশন তৈরি করে। এই চালু এবং বন্ধ করার চক্রের উইধ বা প্রস্থ একটা ফোনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর দ্বারা অনুভূত উজ্জ্বলতা নির্ধারণ করে।

আপনার ফোনের জন্য PWM Dimming কেন গুরুত্বপূর্ণ

আপনার ফোনের PWM Dimming যদি খুবই কম থাকে এবং তা যদি 200Hz বা 500Hz এরও কম হয়, তাহলে তা কিছু মানুষের জন্য মাথাব্যাথা এবং চোখে প্রভাব পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। কম ফ্রিকোয়েন্সির কারণেই এমনটা হয় এবং সেই পিক্সেল চালু ও বন্ধ করার যে দ্রুত চক্র তৈরি হয়, তা সেই ব্যবহারকারীর জন্য আরও লক্ষ্যণীয় হয়ে ওঠে। তার ফলেই আখেরে ফ্লিকারিংয়ের সৃষ্টি হয়, যা সত্যিই খুবই অস্বস্তির এবং কিছু মানুষের ক্ষেত্রে শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে PWM ফ্রিকোয়েন্সি যদি উচ্চতর হয়, তাহলে ফ্লিকারিং অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ঘটে এবং একজন ব্যবহারকারীর কাছে তা এক্কেবারেই লক্ষ্যণীয় হয় না। ফলে, তাঁর চোখে কোনও সমস্যা দেখা যায় না, মাথাও যন্ত্রণা করে না। তাই, যে ফোনে PWM ফ্রিকোয়েন্সি কম, সেটি ব্যবহার করা চোখ ও মাথার পক্ষে ক্ষতিকারক। PWM ফ্রিকোয়েন্সি বেশি হলে এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

PWM Dimming বেশি রয়েছে, এমন কয়েকটি ফোন –

Realme 10 Pro+ ফোনটি সদ্য ভারতে লঞ্চ হয়েছে, যার স্ক্রিন ফ্রিকোয়েন্সি 2160Hz। ভারতে কোনও স্মার্টফোনের জন্য এটি সর্বাধিক স্ক্রিন ফ্রিকোয়েন্সি রেট। এই ফোন ব্যবহার আপনার চোখের জন্য ভাল। Honor ভারতে তার Honor 90 ফোনটি লঞ্চ করবে সেপ্টেম্বর মাসে, যার PWM 3840Hz। এই ডিমিং মাত্রা ব্যবহারকারীর চোখের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক। Poco F4 GT এবং Redmi K50 এই দুটি ফোনই হাই PWM অফার করে।

PWM Dimming কম রয়েছে, এমন কয়েকটি ফোন –

যদিও বাজারে বেশ কিছু ফ্ল্যাগশিপ ফোন রয়েছে, যাদের PWM ফ্রিকোয়েন্সি অত্যন্ত কম। তার ফলে সেই ফোনগুলি ব্যবহার চোখের জন্য মোটেই ভাল নয়। সেই তালিকায় রয়েছে iPhone 14 Pro Max যার স্ক্রিন ফ্লিকারিং ফ্রিকোয়েন্সি 480Hz এবং Pixel 7 Pro এর ক্ষেত্রে তা 240Hz। দুটি ফোনই চোখের জন্য যথোপযুক্ত নয়।

PWM Dimming কম থাকলে কী করবেন

আপনার স্মার্টফোনের PWM ফ্রিকোয়েন্সি যদি কম থাকে, তাহলে সেই হ্যান্ডসেটটি ঘরে আলো বন্ধ করে রাখা অবস্থায় একেবারেই ব্যবহার করবেন না। চোখের ক্লান্তি বা মাথাব্যথা এড়াতে আলোকিত ঘরে আপনার চোখ আরামদায়ক এবং ব্রাইটনেসের মাত্রা ঠিক রাখা দরকার।