ভারতে লঞ্চ হয়েছে রেডমি নোট ১১ প্রো (Redmi Note 11 Pro) এবং রেডমি নোট ১১ প্রো প্লাস ৫জি (Redmi Note 11 Pro Plus 5G) ফোন। জানা গিয়েছে, রেডমি নোট ১১ প্রো সিরিজের (Redmi Note 11 Pro Series) এই দুই ফোনে রয়েছে বেশ কিছু ফিচারের মিল। তবে পার্থক্যও রয়েছে অনেক। তাই এই দুই ফোনের বিভিন্ন ফিচার ও স্পেসিফিকেশন বিশদে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
রেডমি নোট ১১ প্রো- এই ফোনে রয়েছে অ্যানড্রয়েড ১১ সাপোর্ট। এর সাহায্যেই পরিচালিত হবে ফোন। সঙ্গে থাকবে MIUI 13 সাপোর্ট। এই ফোনে ৬.৬৭ ইঞ্চির একটি ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডট ডিসপ্লে রয়েছে, যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। এছাড়াও এই ফোনে একটি মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৮ জিবি LPDDR4X র্যাম।
রেডমি নোট ১১ প্রো ফোনে একটি কোয়াড রেয়ার ক্যামেরা সেটিংস রয়েছে। সেখানে ১০৮ মেগাপিক্সেলের স্যামসাং এইচএম২ প্রাইমারি সেনসর, একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো শুটার ও একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেনসর রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেনসর যা ডিসপ্লের উপর অবস্থিত।
রেডমি নোট ১১ প্রো ফোনে ১২৮ জিবি পর্যন্ত UFS 2.2 স্টোরেজ রয়েছে, মাইক্রো এসডি কার্ডের সাহায্যে এই স্টোরেজের পরিমাণ ১ টিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। কানেক্টিভিটি অপশন হিসেবে এই ফোনে রয়েছে ৪জি এলটিই, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভি৫.১, জিপিএস/এ-জিপিএস, আইআর ব্লাস্টার, এনএফসি, ইউএসবি টাইপ- সি এবং একটি ৩.৫ মিলিমিটারের হেডফোন জ্যাক। এছাড়াও ফোনের সাইডের অংশে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। এই ফোনে একটি ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং তার সঙ্গে ৬৭ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে। টাইপ- সি ইউএসবি পোর্ট দিয়ে এই ফোন চার্জ করা সম্ভব। ফোনের ওজন ২০২ গ্রাম।
রেডমি নোট ১১ প্রো প্লাস ৫জি- ডুয়াল সিমের (ন্যানো) এই ফোন পরিচালিত হবে অ্যানড্রয়েড ১১ এবং MIUI 13- এর সাহায্যে। এই ফোনেও রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। এই ফোনে একটি অক্টা-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ প্রসেসর রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৮ জিবি LPDDR4X র্যাম।
রেডমি নোট ১১ প্রো প্লাস ৫জি ফোনে রয়েছে ট্রিপল রেয়ার ক্যামেরা সেটআপ। সেখানে ১০৮ মেগাপিক্সেলের স্যামসাং এইচএম২ প্রাইমারি সেনসর, একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা সেনসর রয়েছে। এছাড়াও এই ফোনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
আগের মডেলের মতো এই ফোনেও রয়েছে ১২৮ জিবি পর্যন্ত UFS 2.2 স্টোরেজ, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের সাহায্যে ১ টিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। কানেক্টিভিটি অপশন হিসেবে এই ফোনে রয়েছে ৪জি এলটিই, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভি৫.১, জিপিএস/এ-জিপিএস, আইআর ব্লাস্টার, এনএফসি, ইউএসবি টাইপ- সি এবং একটি ৩.৫ মিলিমিটারের হেডফোন জ্যাক। এছাড়াও ফোনের সাইডের অংশে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। এই ফোনে একটি ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং তার সঙ্গে ৬৭ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে। টাইপ- সি ইউএসবি পোর্ট দিয়ে এই ফোন চার্জ করা সম্ভব। ফোনের ওজন ২০২ গ্রাম।
আরও পড়ুন- Best Selling Smartphones: বিশ্বে যে দশটা ফোন সবথেকে বেশি বিক্রি হয় তার সাতটিই আইফোন