সারা বিশ্বে যে কোম্পানির ফোনের চাহিদা সবথেকে বেশি, তা হল Apple-এর। প্রত্যেকটা মানুষই নিজেদের কাছে একটা iPhone রাখতে চান। মানুষের সেই বিপুল চাহিদার সামাল দিতে প্রায় প্রতি বছরই একপ্রকার নিয়ম করে নতুন iPhone লঞ্চ করে ব্র্যান্ডটি। চলতি বছরে 12 সেপ্টেম্বর ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে iPhone 15 সিরিজ়ের আগমন হয় মোট চারটি মডেল দিয়ে। তার হাতে গোনা 10 দিনের মধ্যেই অর্থাৎ 22 সেপ্টেম্বর থেকে এই সিরিজ়ের ফোনগুলির বিক্রিবাট্টাও শুরু হয়ে যায়। মুম্বই, দিল্লির স্টোরগুলির বাইরে বিরাট লম্বা লাইনও লক্ষ্য করা যায় সেল শুরুর অব্যবহিত পরেই।
প্রত্যেক বছরই নতুন-নতুন iPhone কিনতে মানুষের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তার মানেই কি প্রতিটা বছর iPhone ব্যবহারকারীরা নিজেদের নতুন মডেলে আপগ্রেড করে নেন? সম্প্রতি Apple CEO টিম কুককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রতি বছর কোম্পানির নতুন ফোন লঞ্চ করা কতটা জরুরি? এখন তৈরি করা যদি জরুরি হয়, তাহলে মানুষের কেনাটাও নিশ্চয় জরুরি হবে? তার উত্তরে টিম কুক কী বললেন, জেনে নিন।
প্রত্যেক বছর নতুন iPhone তৈরি করে কেন Apple?
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, নতুন iPhone লঞ্চ হলেই ক্রেতাদের মধ্যে তা কেনার জন্য একটা আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়। প্রতি বছরই তারা Apple Storeগুলির সামনে লম্বা ভিড় জমান। সম্প্রতি Brutকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অ্যাপল সিইও টিম কুক এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি, প্রত্যেক বছর তাঁরাই iPhone কেনেন, যাঁরা এটিকে একটি দুর্দান্ত জিনিস বলে মনে করেন।”
কিছু মানুষ আবার এমনও আছেন, যাঁরা তাঁদের পুরনো আইফোন বদলে নিজেদের একটা নতুন মডেলে আপগ্রেড করে নেন। সেখানে যে আরও একটা বড় প্রশ্ন তৈরি হয়। তাহলে বছর-বছর পুরনো iPhoneগুলোর হয়টা কী! কুক সে বিষয়ে বলছেন, “পুরনো যে ফোনগুলি ঠিক থাকে, কাজ করে, সেগুলিকে আমরা রিসেল করে দিই।”
আর যে ফোনগুলি কাজ করে না, সেগুলির কী হয়? সে বিষয়ে কুক বলছেন, যে ফোনগুলি কাজ করে না, সেগুলিকে ডিঅ্যাসেম্বল করে নতুন iPhone তৈরির মেটিরিয়াল হিসেবে কাজে লাগানো হয়।