শাওমি ১১টি প্রো ফোনের নাম দেখা গিয়েছে ব্লুটুথ এসআইজি সার্টিফিকেশন সাইটে। ভারতে এই ফোন দ্রুত লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক মাস আগেই ইউরোপে এই ফোন লঞ্চ হয়েছে। শাওমি ১১টি ফোনের সঙ্গে ইউরোপের লঞ্চ হয়েছিল শাওমি ১১টি প্রো ফোন। জানা গিয়েছে, ব্লুটুথ এসআইজি সার্টিফিকেশন সাইটে শাওমি ১১টি স্মার্টফোন সিরিজের ‘প্রো’ ফোনের মডেল নম্বর ২১০৭১১৩ দেখা গিয়েছে। এর আগে শোনা গিয়েছিল যে ভারতে তিনটি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে লঞ্চ হতে পারে শাওমি ১১টি প্রো ফোন। সেগুলি হল যথাক্রমে- ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ৮ জিবি র্যাম এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ও ১২ জিবি র্যাম এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। এছাড়াও শোনা গিয়েছে যে, তিনটি রঙে ভারতে লঞ্চ হতে পারে শাওমি ১১টি প্রো ফোন।
টিপস্টার মুকুল শর্মা টুইট করে জানিয়েছেন যে, শাওমি ১১টি প্রো ফোনের নাম ব্লুটুথ এসআইজি সার্টিফিকেশন সাইটে দেখা গিয়েছে। এখানে একটি ফোনের মডেল নম্বর দেখা গিয়েছে ২১০৭১১৩আই। এই ‘আই’ শব্দের অর্থ হল ইন্ডিয়া। অর্থাৎ ভারতের বাজারে শাওমির এই স্মার্টফোন লঞ্চ হবে। খুব তাড়াতাড়িই ভারতে শাওমি ১১টি প্রো ফোন লঞ্চ হবে বলে শোনা গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত শাওমি সংস্থা এ ব্যাপারে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি।
কিছুদিন আগে আবার অন্য সূত্রে শোনা গিয়েছে যে, শাওমি ১১টি প্রো ফোনের সঙ্গে এই স্মার্টফোন সিরিজের বেস মডেল শাওমি ১১টি- ও ভারতে লঞ্চ হবে। তবে দুটো ফোনই লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালে, এমনটাই শোনা গিয়েছে। যদিও এখনও নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে ২০২২ সালের প্রথম দিকেই ভারতের মার্কেটে এই ফোন দুটি হাজির হয়ে যাবে।
শাওমি ১১টি প্রো ফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন
ইউরোপে শাওমি ১১টি প্রো ফোন ইতিমধ্যেই লঞ্চ হয়েছে। অনুমান, ইউরোপীয় ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের অনেক মিল থাকবে। ভারতে যে শাওমি ১১টি প্রো ফোন লঞ্চ হতে চলেছে সেখানে ৬.৬৭ ইঞ্চির একটি অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকতে পারে, যার রিফ্রেশ রেট হতে পারে ১২০ হার্টজ। এই ফোনে অক্টা-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১২ জিবি পর্যন্ত র্যাম থাকতে পারে। আর এই ফোনে সর্বোচ্চ ২৫৬ জিবি পর্যন্ত অনবোর্ড স্টোরেজ থাকতে পারে।
এছাড়াও এই ফোনে ট্রিপল রেয়ার ক্যামেরা সেটিংস থাকতে পারে। সেখানে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেনসর থাকতে পারে। এর ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড শুটার এবং একটি টেলি ম্যাক্রো শুটার থাকতে পারে। এছাড়াও এই ফোনের সামনের ডিসপ্লেতে ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেনসর থাকতে পারে। এই ফোনে ৫০০০mAh ব্যাটারি এবং ১২০ ওয়াটের শাওমি হাইপার চার্জ ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট ফিচার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কানেক্টিভিটি অপশন হিসেবে ৫জি। ওয়াই-ফাই ৬, ব্লুটুথ ভি ৫.২, জিপিএস / এ – জিপিএস, এনএফসি, টাইপ- সি ইউএসবি পোর্ট এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেনসর থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- Infinix Note 11: ডিসেম্বরেই ভারতে লঞ্চ হতে পারে এই স্মার্টফোন, দেখুন সম্ভাব্য দাম এবং স্পেসিফিকেশন