নাসার Ingenuity মিনি-হেলিকপ্টার লাল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছে। আপাতত প্রথম উড়ানের জন্য তৈরি হচ্ছে এই হেলিকপ্টার। সম্প্রতি টুইট করে এমনটাই জানিয়েছে নাসা। এই আলট্রা লাইট এয়ারক্র্যাফট ফিক্স করা ছিল অর্থাৎ লাগানো ছিল রোভার পারসিভের্যান্সের পেটের অংশে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করেছিল নাসার পাঠানো রোভার পারসিভের্যান্স। গত শনিবার, নাসার Jet Propulsion Laboratory- এর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছিল যে, মার্স-হেলিকপ্টার মঙ্গল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছে।
টুইটে লেখা হয়েছিল, ২৯৩ মিলিয়ন মাইল অর্থাৎ ৪৭১ মিলিয়ন কিলোমিটার জার্নি করেছে নাসার রোভার। সফর শেষ হয়েছে ৪ ইঞ্চি (১০ সেন্টিমিটার) হেলিকপ্টার অবতরণের পর। একটি ছবিও টুইট করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল হেলিকপ্টারের অংশ এবং আংশিক ‘এয়ারফিল্ড’। Ingenuity আপাতত পারসিভের্যান্সের পাওয়ার সিস্টেম থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এবার নিজস্ব ব্যাটারিতেই চলবে এই হেলিকপ্টার। তবে হেলিকপ্টারের মধ্যে আনশিল্ড অর্থাৎ আবরণ ছাড়াই রয়েছে ইলেকট্রিকাল যন্ত্রাংশ। মঙ্গল গ্রহের শীতল রাতে সেগুলো যেন জমে বা কোনওভাবে ভেঙে না যায়, সেইসব বজায় রাখাই আসল চ্যালেঞ্জ।
#MarsHelicopter touchdown confirmed! Its 293 million mile (471 million km) journey aboard @NASAPersevere ended with the final drop of 4 inches (10 cm) from the rover's belly to the surface of Mars today. Next milestone? Survive the night. https://t.co/TNCdXWcKWE pic.twitter.com/XaBiSNebua
— NASA JPL (@NASAJPL) April 4, 2021
মার্স হেলিকপ্টারের প্রজেক্ট চিফ ইঞ্জিনিয়ার Bob Balaram (Jet Propulsion Laboratory) জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহে রাতে তাপমাত্রা -৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। এই পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টার ঠিকভাবে থাকাটাই আসল ব্যাপার। এখানে রয়েছে একটি হিটার। হেলিকপ্টারে থাকা এই হিটার মার্স হেলিকপ্টারের ভিতরের অংশের তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন ব্যাটারি এবং অন্যান্য সেনসিটিভ ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট অত ঠাণ্ডাতেও ঠিক থাকবে। সঠিক ভাবে কাজ করবে হেলিকপ্টারের সোলার প্যানেল। আগামী কয়েকদিন ধরে এই হেলিকপ্টারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চেক করে নেওয়া হবে। প্রথম উড়ানের আগে সব খতিয়ে দেখা হবে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১১ এপ্রিল মার্স হেলিকপ্টার উড়ান শুরু করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেকেন্ডে এক মিটার করে উড়ে ৩ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত যাওয়ার কথা এই হেলিকপ্টারের। লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের হাই রেসোলিউশনের ছবি তুলবে এই হেলিকপ্টার। একমাসে মোট পাঁচবার ওড়ার কথা রয়েছে এই হেলিকপ্টারের।