জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট (Flipkart) এবার লঞ্চ করেছে ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাস অ্যাপ (Flipkart Health+ app)। এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতারা বিভিন্ন ওষুধপত্র এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য জিনিস ও পরিষেবা পাবেন, বলা ভাল কিনতে পারবেন। ভারতে ২০ হাজার পিনকোডের এলাকায় এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে এও জানা গিয়েছে ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাস অ্যাপ থেকে ভাল গুণগত মানের ওষুধপত্র এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য প্রোডাক্ট ও সার্ভিস পাওয়া যাবে। আর তার খরচও সাধ্যের মধ্যেই হবে। স্বাধীন বিক্রেতাদের থেকে কেনা যাবে এইসব জিনিস। অ্যাপোলো ২৪x৭, টাটা ১এমজি ও অন্যান্য জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে এবার ময়দানে নামছে ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাস অ্যাপ। গ্রাহকদের সুবিধার্থে চালু হচ্ছে এই হেলথ অ্যাপ। বাড়ি বসেই ওষুধপত্র এবং অন্যান্য হেলথকেয়ার প্রোডাক্ট ও পারিষেবা পেয়ে যাবেন ক্রেতারা।
ফ্লিপকার্টের তরফে জানানো হয়েছে তাদের এই হেলথ অ্যাপ এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে খুব সহজেই সকলে ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য সাংঘাতিক ভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই যে কেউ এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাপে যুক্ত রয়েছে ৫০০- র বেশি স্বাধীন বিক্রেতা। এইসব বিক্রেতাদের কাছে রেজিস্টার করা ফার্মাসিস্টদের একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে। এর ফলে মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সঠিক ওষুধ দেওয়ার বৈধতা রয়েছে এইসব বিক্রেতাদের কাছে। একজন বিক্রেতার কাছে থেকে সঠিক ওষুধই ক্রেতার দরজায় পৌঁছোবে বলে দাবি করেছে ফ্লিপকার্ট। কারণ ফ্লিপকার্ট হেলথ অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানোর আগে সমস্ত ওষুধ ও অন্যান্য হেলথকেয়ার প্রোডাক্টের গুণগত মান এবং সেটিই সঠিক ওষুধ কিনা তা দেখে নেওয়া হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাস অ্যাপে থার্ড পার্টি হেলথকেয়ার পরিষেবা প্রদানকারীদের যুক্ত করা হবে। তারা টেলিকনসালটেনশন এবং ই-ডায়গোনেস্টিক এইসব সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতাদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করবে।
গুগল প্লে স্টোরে ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাস অ্যাপ। আগামী দিকে আইওএস ভার্সানেও উপলব্ধ হবে এই অ্যাপ। ফ্রিতেই ব্যবহার করা যাবে এই অ্যাপ। শুধু প্রয়োজন স্মার্টফোন এবং প্রেসিক্রিপশনের ভেরিফিকেশন। তাহলে প্রয়োজনীয় ওষুধ বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাসে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রশান্ত জাভেরি জানিয়েছেন, করোনার সময় থেকেই ভারতের জনগণ ওষুধের আকাল আরও বেশি করে দেখতে পেয়েছেন। তাই ক্রেতাদের প্রয়োজনীয়তা এবং ওষুধের উপলব্ধতার মাঝে যে শূন্যস্থান হামেশাই তৈরি হয়, সেটা পূরণের জন্যই হাজির হয়েছে ফ্লিপকার্ট হেলথ অ্যাপ।