Whatsapp Habit: সামাজিক জীবনের ওতপ্রোত অঙ্গ হোয়াটসঅ্যাপ, কীভাবে জানেন?

Aug 26, 2022 | 3:09 PM

Whatsapp: বর্তমানে এই অ্যাপ এককথায় অলরাউন্ডার। সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৪০ কোটি ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই শুধু চ্যাট নয়, পেমেন্টের সুবিধাও উপলব্ধ করেন।

Whatsapp Habit: সামাজিক জীবনের ওতপ্রোত অঙ্গ হোয়াটসঅ্যাপ, কীভাবে জানেন?
ছবি - TV9 Bangla

Follow Us

Whatsapp Tricks: আমেরিকার (US) মতো প্রথম বিশ্বের দেশে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ (Whatsapp) নামক অ্যাপটি (App) বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। যদিও ভারতের (India) মতো উন্নয়নশীল দেশ, যেখানে এখনও ইন্টারনেট পরিষেবার আওতায় নেই অধিকাংশ নাগরিক, সেখানে কতটা পরিচিত এই অ্যাপ? আদতে ছবিটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। আজ ভারতে আম-আদমির জীবনে অন্যান্য সকল কিছুর মতোই একটি অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী এই অ্যাপ!

শহর থেকে গ্রামে, ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ

প্রথম প্রথম শুধু চ্যাট (Chat) করা যেত, তারপর এল ইমোজি (Emoji), ক্রমশ স্টিকার (Sticker), তারপর এল হোয়াটসঅ্যাপ পে (Whatsapp Pay) অর্থাৎ অ্যাপের মাধ্যমে UPI পদ্ধতিকে অবলম্বন করে অর্থ লেনদেনের সুবিধা। বর্তমানে এই অ্যাপ এককথায় অলরাউন্ডার। সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৪০ কোটি ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই শুধু চ্যাট নয়, পেমেন্টের সুবিধাও উপলব্ধ করেন। পাশাপাশি ছবি পাঠানো থেকে তৎক্ষণাৎ গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল রিপোর্ট ডকুমেন্ট (Document) করে পাঠানো, সব পদ্ধতিই ব্যবহার করে থাকেন ভারতীয়রা।

সহজে ব্যবহার করা যায়, তাই ভরসাযোগ্য

ভারতের মতো দেশে আইফোন (iPhone) ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ কম, তাছাড়া SMS করার প্রবণতাও গত দশকের তুলনায় অনেকটাই কম। ফলত হোয়াটসঅ্যাপ এখন বহু মানুষের কাছে যোগাযোগের সহজতম মাধ্যম। আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে যখন ১,৯০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেয় মেটা (Meta), তখন ভারতে এই অ্যাপ ব্যবহার নিয়র বেশ সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। যদিও সকল ধারণাকে নস্যাৎ করে যেভাবে প্রত্যেক মানুষের মুঠোফোনে পৌঁছে গিয়েছে এই অ্যাপ, তাতে এটা অন্তত স্পষ্ট যে ভারতীয়রা যথেষ্ট ভরসা করে হোয়াটসঅ্যাপকে।

ভুয়ো খবরের প্রবাহ আটকেছে হোয়াটসঅ্যাপ

ফেসবুকের (Facebook) মতো হোয়াটসঅ্যাপ-ও ভুয়ো খবরের সুনামিতে বড়সড় ধাক্কা খায়। আর এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেন মেটা কর্তৃপক্ষ। ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ (End to End Encryption) পদ্ধতির মাধ্যমে শুধুমাত্র দু’জনের মধ্যেই চ্যাটকে সীমাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করে মেটা। যদিও এরপরেও কমেনি সমস্যা। ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় দেশে গুজব রটনার ঘটনা ঘটে আকছার। অধিকাংশক্ষেত্রে গুজবের প্রবাহকে সহায়তা করে হোয়াটসঅ্যাপ। আর তাই সম্প্রতি যেকোনও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্র। এনক্রিপশন করা থাকলেও সরাসরি মেসেজ বা চালাচালি হওয়া তথ্য দেখতে চায় সরকার, যদিও প্রশাসনের এই চাহিদা কি মেটাবে মেটা? সে উত্তর এখনও অধরা।

প্রাইভেসির প্রতিশ্রুতি ‘ভাঙবে’ হোয়াটসঅ্যাপ?

সরকারের এহেন আবদারে যে রীতিমতো বেকায়দায় হোয়াটসঅ্যাপ, তা স্পষ্ট অ্যাপের বর্তমান প্রধানের কথাতেই। “মানুষ তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ও কাছের মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ করছে, ছবি শেয়ার করছি, ভাগ করে নিচ্ছে সবচেয়ে গোপনতম সিক্রেট। এসবের জন্য সে বেছে নিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাই এমন একটা জায়গা মানুষকে দেওয়ার আগে সবকিছু ভেবে নেওয়া উচিত”, বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান উইল ক্যাথকার্ট (Will Cathcart)। প্রাইভেসির প্রশ্নে যেখানে এতদিন তর্কাতীত জায়গায় ছিল হোয়াটসঅ্যাপ, সেখানে কেন্দ্রের চাপের মুখে আর কতদিন নতি স্বীকার না-করে দাঁড়িয়ে থাকে মেটা, তাই-ই এখন দেখার।

Next Article