ভারতে ৫জি (5G In India) পরিষেবা চালু নিয়ে টালবাহানার শেষ নেই। তবে খানিক স্বস্তির খবর মিলল। বিতর্ক দেখা দিয়েছিল যে, ৫জি পরিষেবা ভারতে চালু হলে বিমান যাত্রার (Air Travel) ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই বিতর্কে সম্পূর্ণ ভাবে জল ঢেলে আইটিইউ এপিটি ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া-র (ITU APT Foundation Of India) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশে ৫জি পরিষেবা বিমান চলাচলে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। এই সংস্থা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, ভারতের এয়ারক্রাফ্ট এবং এয়ারলাইনস সেক্টরে ৫জি কোনও ভাবেই বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আমেরিকায় সম্প্রতি একাধিক বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। সংস্থাগুলির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৫জি পরিষেবার কারণে অল্টিটিউড রিডিং নিতে বিমানচালকদের সমস্যা হচ্ছে।
“৫জি নেটওয়ার্ক চালু হলে ভারতের এয়ারক্র্যাফ্ট সেক্টরের ভয়ের কোনও কারণ নেই। এ দেশে ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য ৩৩০০ থেকে ৩৬৭০ এমএইচজেড অ্যালোকেট করা হয়েছে, যা ৫০০এমএইচজেড অল্টিমিটার স্পেকট্রামের থেকে অনেকটাই বেশি। আর সেই কারণেই সি ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি ভারতে ৫জি পরিষেবার জন্য অকশন করা হয়েছে এবং তার জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন র্যাডার অল্টিমিটারের কোনও ঝুঁকি নেই। এই স্পেকট্রামের জন্যই দেশের অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি নিশ্চিন্তে থাকতে পারে তাদের ফ্লাইট সার্ভিস নিয়ে”, বলছেন আইটিইউ এপিটি ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারত ভাটিয়া।
কিন্তু আমেরিকায় ৫জি পরিষেবা এয়ারক্র্যাফ্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য সমস্যা তৈরি করছে কেন? তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভারত ভাটিয়া আরও বললেন, “৫জি নেটওয়ার্কের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে যে ধরনের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহৃত হয়েছে, ভারতে তার থেকে অনেক কম ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহৃত হবে। ফলে আমেরিকায় ৫জি নেটওয়ার্ক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যে সমস্যার সৃষ্টি করছে, ভারতে তা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।” টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে বলেও তিনি যোগ করলেন।
প্রসঙ্গত, এই আইটিইউ এপিটি ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া, রাষ্ট্রসঙ্ঘের বডি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস দ্বারা স্বীকৃত। এটি মূলত স্পেকট্রাম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে। সারা বিশ্বের এয়ারক্র্যাফ্ট ইন্ডাস্ট্রি রেডিও অল্টিমিটারের জন্য ৪২০০ থেকে ৪৪০০ এমএইচজেড ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করে। আমেরিকায় ৫জি কানেক্টিভিটির ফ্রিকোয়েন্সি ৩৭০০-৩৯৮০ এমএইচজেড, যা ভারতের থেকে অনেকটাই বেশি এবং বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও সমস্যার।
ভারতে এই মুহূর্তে ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য স্পেকট্রাম বন্টনের বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে। আর সেই কারণে এ দেশে ৫জি কবে নাগাদ লঞ্চ হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বেঁচে যাওয়া রান্নার তেলে দ্রুততার সঙ্গে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়, কী ভাবে?
আরও পড়ুন: জাপানে পুলিশের পরিবর্তে রাস্তায় রোবট! AI-এর মাধ্যমে ঘনঘন টহলদারি, ধরছে চোর-ডাকাতও