আচ্ছা, ঠিক কত রকমের মেমোরি কার্ডের কথা আপনি জানেন? দুই ধরনের মেমোরি কার্ড (Memory Card) রয়েছে, তার একটি স্মার্টফোনের জন্য এবং অপরটি DSLR ক্যামেরার জন্য। আর এই দুই মেমোরি কার্ডের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে। সাধারণত মোবাইল বা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে মেমোরি কার্ডগুলি একটু ছোট হয়। আবার DSLR বা অন্য ডিজিটাল ক্যামেরায় যে মেমোরি কার্ডগুলি ব্যবহৃত হয়, সেগুলি একটু বড়। তবে এই বড় মেমোরি কার্ডগুলির ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় বিষয়টি হল, সেগুলিতে এক ধরনের সুইচ (Switch) থাকে। আর তার মাধ্যমেই ছোট এবং বড় মেমোরি কার্ডের মধ্যে তফাৎটা বোঝা যায়।
মোবাইল এবং ক্যামেরা দুই জায়গায় যাতে ফিট করে যায়, সেই কারণে দুই ধরনের মেমোরি কার্ডেই থাকে বিশেষ ডিজ়াইন। যদিও ক্যামেরার জন্য বড় মেমোরি কার্ডটির গঠন হয় একবারেই আলাদা এবং তা স্মার্টফোনের মেমোরি কার্ডের তুলনায় অন্তত ৩ গুণ বড় হয়।
দুটি মেমোরি কার্ডের মধ্যে ক্যামেরায় ব্যবহৃত বড় মেমোরি কার্ডের ঠিক বাঁ দিকে থাকে একটি ছোট বোতাম। সেই বোতামটি আপনি চাইলে উপর থেকে নীচে ওঠানামা করাতে পারেন। কিন্তু কেন এই বাটন বা বোতামটি দেওয়া হয়েছে একটি মেমোরি কার্ডে? তা কি শুধুই ছোট মেমোরি কার্ডের থেকে আলাদা করার জন্য? নাকি অন্য কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে?
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, একটা বড় মেমোরি কার্ডে কেন একটা বাটন থাকে। তবে যাঁরা ক্যামেরা ব্যবহার করেন, তাঁরা ওই বাটনটি নিয়ে সদা সচেতন থাকেন। কিন্তু তাঁরাও সম্ভবত কারণটা জানেন না।
আসলে এই বাটনটির মাধ্যমে মেমোরি কার্ডটিকে আসলে লক করে রাখা হয়। আর লক মোডে রেখে আপনি যদি মেমোরি কার্ডটিকে ক্যামেরায় ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি ছবি তুলতে পারবেন না। এছাড়াও, যদি ইতিমধ্যে কোনও ডকুমেন্ট সেখানে উপস্থিত থাকে, তাহলে আপনি সেগুলি ক্যামেরায় দেখতে পাবেন না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি আগে কোনও ফটো ক্লিক করেন তবে তা ক্যামেরায় দেখাবে না এবং আপনাকে দেখানো হবে, মেমোরি কার্ড লকড রয়েছে।
এখন আপনাকে যদি একটা ছবি তুলতে হয় বা ভিডিয়ো ক্লিক করতে হয় আর সেই ছবি বা ভিডিয়ো যদি ওই মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়, তাহলে সেটিকে আনলক মোডে রেখে দিন। একবার আনলক মোডে মেমোরি কার্ড রাখার পরই সেটিকে যাবতীয় কাজে ব্যবহার করুন।