Asteroid 2023 HX News: পৃথিবীতে একের পর এক গ্রহাণু আছড়ে পড়লে তার ফলাফল কী হতে পারে, তার প্রমাণ ডাইনোসর যুগেই মিলেছিল। যদি আবারও তেমন কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মানুষ এবং সকল প্রাণীকূল। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। দৈত্যাকার গ্রহাণুগুলিকে প্রায়শই মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যবর্তী স্থানে থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়। কিন্তু তারা যদি সেখান থেকে সরে গিয়ে সংঘর্ষের দিকে যায়, তবে তারা পৃথিবীর (Earth) দিকে এগিয়ে আসবে। যে সমস্ত গ্রহাণুর পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, নাসার গ্রহাণু ওয়াচ ড্যাশবোর্ড সেগুলির উপরে কড়া নজর রাখে। প্রতিটি এনকাউন্টারের জন্য নিকটতম তারিখ, আনুমানিক বস্তুর ব্যাস, আপেক্ষিক আকার এবং পৃথিবী থেকে দূরত্ব সবই নিরীক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা (Scientists)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গ্রহাণুটি আজ অর্থাৎ 23 এপ্রিল পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে।
পৃথিবীর সঙ্গে অতীতে এই ধরনের দুর্ঘটনা 65 মিলিয়ন বছর আগে ঘটে গিয়েছে। এর ফলে যে শুধুই পৃথিবীতে ডাইনোসরের বিলুপ্তি হয়েছিল, তা একেবারেই নয়। গ্রহাণুর প্রভাব ভয়ঙ্করভাবে পুরো পৃথিবীকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাই আবারও তেমন কিছুই ঘটতে চলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির তরফে জানান হয়েছে, পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে গ্রহাণু। তবে শুধু একটি নয়, পাঁচটি গ্রহাণু একসঙ্গে ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে।
পাঁচটি গ্রহাণু সম্পর্কে আর কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?
যে পাঁচটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির ব্যাস 130 ফুট। যা একটি বিমানের সমান। এটিকে Asteroid 2023 HX নামকরণ করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ 23 এপ্রিল তা পৃথিবীর খুব কাছ থেকে যাবে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL)-তে এই পাঁচটি গ্রহাণু সম্পর্কে জানানো হয়েছে। বিমানের আকারের এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় 42404 কিলোমিটার বেগে চলছে। গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘাত কখনওই কাম্য নয়, কারণ তাতে জীবকূলের উপর নেমে আসতে পারে মহাবিপদ!